ফাইনালে চেন্নাইকে ২১৫ রানের টার্গেট দিল গুজরাট
- টিডিসি স্পোর্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৩, ০৯:৪৪ PM , আপডেট: ২৯ মে ২০২৩, ১০:৪৩ PM
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসকে ২১৫ রানের টার্গেট দিল গুজরাট টাইটানস। রিজার্ভ ডে তে ফাইনালে টসে জিতে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রন জানায় চেন্নাই সুপার কিংস। সাই সুদর্শনের বিধ্বংসী ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় গুজরাট টাইটানস।
তবে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চার-ছক্কার বৃষ্টি ছোটালেন গুজরাটের ব্যাটাররা। একের পর এক তাণ্ডব চালানো ইনিংসে গুজরাট টাইটানসকে ফাইনালে তোলা শুভমান গিল আজও দারুণ শুরু খেলেছেন। তবে ধোনির বিদ্যুৎগতির স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে চলতি আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক সাজঘরে ফেরার পর কিছুটা থমকে গিয়েছিল তাদের রান।
এক গিলের বিদায়ে যেন পুর্নজন্ম হলো আরেক গিলের। ফাইনালের মঞ্চে গিলের ডেমো হয়েই খেললেন সাই সুদর্শন। যদিও মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিহনি। তবে সুদর্শনের ৪৭ বলে ৮ চার আর ৬ ছক্কায় গড়া ৯৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করেই ৪ উইকেটে ২১৪ রান তুলেছে গুজরাট টাইটান্স। অর্থাৎ শিরোপা জিততে হলে চেন্নাই সুপার কিংসকে করতে হবে ২১৫ রান।
আহমেদাবাদে টস জিতে প্রথমে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে পাঠান চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খেতে পারতো গুজরাট। তুষার দেশপান্ডের বলে স্কয়ার লেগে শুভমান গিলের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন দীপক চাহার। গিল তখন ২ রানে।
গিল জীবন পাওয়ার পর ভয়ংকর হয়ে উঠেন। পাওয়ার প্লেতে তিনি আর ঋদ্ধিমান সাহা মিলে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন গুজরাটকে। ৬ ওভারে তারা তোলে ৬২ রান। জীবন পাওয়া গিল হাফসেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিতে ধোনির স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ২০ বলে ৭ বাউন্ডারিতে গুজরাট ওপেনার করেন ৩৯ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে সাই সুদর্শনকে নিয়ে ৪২ বলে ৬৪ রানের জুটি গড়েন ঋদ্ধিমান। ৩৬ বলে ফিফটি পূরণ করা উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার ফেরেন দীপক চাহারের শিকার হয়ে। ৩৯ বলে তার ৫৪ রানের ইনিংসে ছিল ৫ চার আর ১ ছক্কার মার। এরপর ৩৩ বলে ফিফটি করেন সুদর্শন। ১৭তম ওভারে তুষার দেশপান্ডেকে ৩ চার আর ১ ছক্কা হাঁকিয়ে একাই ২১ রান তুলে নেন এই ব্যাটার।
সুযোগ ছিল সেঞ্চুরির। শেষ ওভারে পাথিরানাকে টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারের একদম কাছে চলে এসেছিলেন সুদর্শন। কিন্তু পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে যান। ভাঙে প্রথম সেঞ্চুরির স্বপ্ন।
চেন্নাইয়ের সব বোলারই খরুচে ছিলেন। পেসার মাথিশা পাথিরানা ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে দেন ৪৪ রান।