ধুলো-ধোঁয়ার সীমানা নেই, পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই দেশে দেশে ঘোরেন: পরিকল্পনামন্ত্রী
দেশে দেশে সৃষ্ট ধুলো-ধোঁয়ার কোনো সীমানা নেই বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান। তিনি বলেছেন, পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই এসব ধুলো-ধোঁয়া এক দেশে থেকে অন্য দেশে ঘুরে বেড়ায়। শনিবার (২৭ মে) বিকেল ব্রিটিশ কাউন্সিলের ফুলার রোডস্থ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ জলবায়ু দূষণে তেমন কিছুই করা হয় না। আমরা শিল্পের ক্ষেত্রে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে এখনো প্রাথমিক পর্যায়েই রয়ে গেছি। আমরা খুব বেশি ধোঁয়া বা ধুলো কোনটাই বেশি ছড়াই না।
‘‘তবে ধোঁয়া-ধুলোর কোনো সীমানা নেই। ভারতে ও নেপালের ধোঁয়া-ধুলো আমাদের দেশে আসে। আমাদেরটা তাদের কাছে যায়। সারা দুনিয়া জুড়ে এটা ঘটছে। তাদের কোনো পাসপোর্ট ভিসার প্রয়োজন হয় না। এই দূষণের ক্ষেত্রে সকলে মিলে একসাথে মোকাবিলা করতে হবে।’’
অনুষ্ঠানে ‘শর্ট ফিল্মস অন ওয়াটার’ শীর্ষক চারটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। ‘বাংলাদেশ কামরি ক্লাইমেট স্টোরিজ’ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা ডকল্যাব ও যুক্তরাজ্যের ওয়েলস ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যৌথ উদ্যোগে এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় সম্প্রতি এ প্রামাণ্যচিত্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রামাণ্যচিত্রগুলো হলো- বাংলাদেশ থেকে আসমা বীথি পরিচালিত দপ্রুঝিরি ও সামছুল ইসলাম স্বপন পরিচালিত লতিকা এবং যুক্তরাজ্যের ওয়েলস থেকে ম্যারেড রিস পরিচালিত আওয়ার হোম: দা সি এবং লিলি টাইগার টোনকিন পরিচালিত সি সেলস শেলফিশ।
প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে চার চলচ্চিত্র নির্মাতা ঢাকা ডক ল্যাব ও ওয়েলস ওয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা পেয়েছেন। সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্রগুলোয় নারীদের সাথে সম্পৃক্ত জলবায়ু পরিবর্তনের গল্প তুলে করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি কলেজে হ-য-ব-র-ল পদায়ন, নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ
এম. এ. মান্নান বলেন, অতীতে জলবায়ু-বিষয়ক নানা সম্মেলন হয়েছে। যেসব দেশের সম্পদ অনেক বেশি। নানাভাবে তারা সঞ্চয় করেছে। কীভাবে সঞ্চয় করেছে এখানে বলার প্রসঙ্গ নয়। তারা সেসব সম্মেলনে কথা দিয়েছিল; আমাদের মতো দেশগুলোকে কিছু অর্থ দিবে। সেটা ধার হিসেবে নয়, দায় হিসেবে।
‘‘কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত সেটা হয়ে ওঠেনি। সেটা তাদেরকে বারবার স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। কারণ, জলবায়ু দূষণের জন্য তারাই প্রধানত দায়ী।’’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ডিরেক্টর ডেভিড নক্স এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ। এছাড়াও অতিথি এবং দর্শনার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, গবেষণাক্ষেত্র, শিক্ষাক্ষেত্র, পরিবেশ ও জলবায়ু প্রমুখ নিয়ে সক্রিয়ভাবে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ।