১৯ মে ২০২৩, ১৮:১৫

পাঠদান আর সার্টিফিকেটের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নয়: তথ্যমন্ত্রী

ড. হাছান মাহমুদ  © টিডিসি ফটো

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পাঠদান আর সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নয়। একজন শিক্ষার্থী বিশ্বাঙ্গনে যাতে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারে, বিশ্বময় সে যাতে দাপিয়ে বেড়াতে পারে, তার যোগ্যতাকে তুলে ধরতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়।

আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন ওপেনিং সেরেমনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে অস্তিত্বের প্রশ্নে সরকার আবোল-তাবোল বকছে বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের বিষয়েও সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, গাড়ি বসে গেলে ওটাকে মাঝে মধ্যে স্টার্ট দিতে হয়. বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচিও হচ্ছে সেরকম। বসে যাওয়া গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার মতো। কারণ বিএনপি দলটাই তো বসে গেছে। মাঝে মধ্যে স্টার্ট দেওয়ার জন্য, যাতে জং ধরে না যায় সেজন্য আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়। এ ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়।

আরো পড়ুন: বাবা শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, মেয়ে হলেন শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমার মনে হয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী সাহেবসহ বিএনপির নেতারা বিশ্বময় যে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা, তার প্রতি বিশ্বনেতৃবৃন্দের বা বিশ্বঅঙ্গনের যে আস্থা সেটি বুঝতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউকে সফর করেছেন। তিনি অত্যন্ত সফল একটা সফর করে এসেছেন। যে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল সেই বিশ্বব্যাংক নিজেরাই প্রস্তাব করেছে ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে সহায়তা করার। এবং জাপান ৩০ বিলিয়ন ইয়েন আমাদেরকে সাহায্য করবে বিভিন্ন প্রকল্পে।

সরকার দেশে-বিদেশে আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে এখন ভোটারবিহীন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে গত ১৬ মে জাতিসংঘ ‘দ্যা শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে প্রস্তাব এনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। সেই প্রস্তাব এবং বাংলাদেশের সঙ্গে কো-স্পন্সর  হয়েছে একাত্তরটি দেশ। এরপরও কি বলা উচিৎ জননেত্রী শেখ হাসিনা কিংবা সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বময় কি আছে? এটি বলার কোনো প্রয়োজন নেই।