সেন্টমার্টিনে তীব্র ঝোড়ো বাতাস, সাগরের অবস্থা ‘ভয়ঙ্কর’

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে সেন্টমার্টিনে তীব্র ঝোড়ো বাতাস হচ্ছে
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে সেন্টমার্টিনে তীব্র ঝোড়ো বাতাস হচ্ছে  © সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতিও অনেক বেড়েছে। এরসঙ্গে সমুদ্র ব্যাপক উত্তাল রয়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ী তকি উসমানি খোকা আজ রোববার (১৪ মে) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে।

ব্যবসায়ী তকি উসমানি রাতে নিজের বাড়িতে ছিলেন। তীব্র বাতাস আর সাগরের গর্জনে রাত আতঙ্কে কেটেছে। সকালে নিজেও গিয়ে উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। তিনি বলেন, ‘সাগরের অবস্থা কী বলব! বাতাসে সাগর যে অবস্থায় থাকে, সে অবস্থাতেই আছে। অবস্থা ভয়ংকর।’

সেন্টমার্টিনে সকাল ১০টা থেকে সোয়া ১০টায় জোয়ার শুরু হবে। এটি চার ঘণ্টা থাকবে বলে জানান তকি। তিনি বলেন, টেকনাফ প্রশাসন যোগাযোগ করেনি। সেন্টমার্টিনে কিছু লাইফ জ্যাকেট ছিল। কিছু ছিল সরকারি। এগুলো চেয়ারম্যান-মেম্বাররা নিয়ে গেছেন। আর কাউকে দেওয়া হয়নি।

তকি বলেন, নেভির আশ্রয়কেন্দ্রে ২৬৫ জন আছেন। হাসপাতালে এক হাজারের বেশি মানুষ রয়েছেন। প্রাইমারি স্কুলে আছেন ৩৮৪ জন। সেভেন স্টার হোটেলে আছেন ৮০ থেকে ৮৫ জন। চার হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন। বাকি সাড়ে ৩ হাজার মানুষ বাড়িতে রয়েছেন। অনেকের বাড়িতে ছোট  জেনারেটর আছে। সেগুলো চালিয়ে মোবাইল ফোন চার্জ দিচ্ছেন।

এ ব্যবসায়ী বলেন, সকাল সাড়ে ৬টায় আমি হাসপাতালের আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছি। খিচুড়ি রান্না করা হয়েছিল রাতে। শতকরা ৪০ শতাংশ মানুষ খাবার পেয়েছেন। বাকি ৬০ শতাংশ পায়নি। অন্যরা শুকনো খাবার খাচ্ছেন। যার কাছে নেই তিনি হাত পাতছেন। চাল-ডাল কিছু আছে। তবে সঠিক কথা কেউ বলছে না। মানুষ খাবার পাবে কি না জানি না।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় তো হঠাৎ আসেনি, কেউ আমাদের কথা ভাবল না। একটি এনজিও ৩-৪ দিন আগে যোগাযোগ করেছিল। আমরা যদি মানুষই হয়ে থাকি, তবে কেউ আমাদের কথা ভাবল না কেন? গরু-ছাগল, কুকুরের আশ্রয় নেই, খাবার নেই। আমাদের অবস্থাও একই।


সর্বশেষ সংবাদ