পাঁচ বছরে ঢাকায় পুকুর কমেছে ৭১টি

নিউ সুপার মার্কেটের আগুন নেভাতে ঢাকা কলেজের পুকুর থেকে নেওয়া হচ্ছে পানি
নিউ সুপার মার্কেটের আগুন নেভাতে ঢাকা কলেজের পুকুর থেকে নেওয়া হচ্ছে পানি  © ফাইল ছবি

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, রাজধানীর পুকুরগুলোর ওপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। ২০১৮ সালে ঢাকায় ১০০টি পুকুর ছিলো। বর্তমানে তা কমে ২৯টিতে উপনীত হয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে ঢাকায় পুকুর কমেছে ৭১টি।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‌‘বারবার অগ্নিদুর্ঘটনার কারণ: প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক নগর সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অমিতোষ পাল।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পুকুরগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদে পরিণত হয়েছে। জমির মালিকরা যে যার মতো পুকুর ভরাট করে ফেলবে এমনটা হতে পারে না। একটা পুকুর আশপাশের মানুষের জীবন মাল রক্ষা করছে।

আরও পড়ুন: ঢাকা কলেজের পুকুর থেকে নেয়া হলো ১ কোটিরও বেশি লিটার পানি

ফায়ার সার্ভিস কাজ করতে গিয়ে নানা অসুবিধার মধ্যে পড়ে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, মার্কেটগুলোতে অধিক দোকান বসানোর প্রবণতা দেখা দেয়। যা বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে অন্য অনেক সেবা নিশ্চিতে পিছিয়ে থাকে। যেখান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, নগর পরিকল্পনাবিদ আক্তার মাহমুদ, ঢাকা ওয়াসা প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ মেহেদী হাসান প্রমুখ।

আরও পড়ুন: বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে আগুন, ঢাবির হলের পুকুর থেকে নেওয়া হচ্ছে পানি

অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে আমাদের ক্রমাগত জলাশয় কমছে। আমাদের মার্কেটগুলোতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রাংশের অভাব রয়েছে। এর মধ্যে সস্তায় যন্ত্রাংশ কেনার প্রবণতা রয়েছে। অগ্নিনির্বাপক স্টোম রুম নেই।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক বলেন, ঝুঁকি থাকার পরও মার্কেট মালিক কিংবা দোকানিদের সহযোগিতার মানসিকতা থকে না বা আমরা পাশে পাই না। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেটগুলো শনাক্তে জরিপ প্রয়োজন। একটা জরিপ করতে এক বছরের বেশি সময় লেগে যায়। তাই আমরা চিন্তা করছি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে জরিপ করার।


সর্বশেষ সংবাদ