ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল হবে না: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল হবে না। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ আইন সংস্কার হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’ বুধবার (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ‘অধিকারের ভবিষ্যৎ গঠন (শেপিং এ ফিউচার অফ রাইটস)’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে সরকার কাজ করছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমস্যা দূর করে এটাকে সর্বসাধারণ আইন করা হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কখনোই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করবেন না।
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে এখন মামলা হলেই তা গ্রহণ করা হয় না উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, মামলা হলে এটা একটি বিশেষ সেলে পাঠানো হয়, এরপর যাচাই-বাছাই শেষে আদালতে মামলা দাখিল করা হয়। সেলকে বলা হয়েছে অযথা সাংবাদিকদের যেন গ্রেপ্তার করা না হয়।
আরও পড়ুন: শিকল পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল দাবি ছাত্র ইউনিয়নের।
আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য প্রণয়ন করা হয়নি। এটা সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছে।
প্রথম আলো গণতন্ত্রের শত্রু- সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্য কতটা গ্রহণযোগ্য? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, সবার যেমন বাকস্বাধীনতা আছে, প্রধানমন্ত্রীরও আছে। আর প্রথম আলোর সম্পাদক জামিন পেয়েছেন। জনগণই নির্ধারণ করবে কোনটি সঠিক, কোনটি সঠিক নয়।
‘তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার লিস্টে বাংলাদেশ যদি আফগানিস্তানের নিচে থাকে, তবে সেটা আসলেই প্রশ্নের সৃষ্টি করে, বলে জানন আনিসুল হক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ডে, ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের ইনচার্জ সুজান ভাইজ, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. গীতি আরা নাসরিন, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।