এক গরু কয়েকবার কোরবানি করাও অসততা: ফারুকী
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডনেশন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা বিতর্কিত পোস্ট দেখে অনেকের মতো নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীরও মন খারাপ। রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর আগে অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে অন্য এক পোস্টে বিদ্যানন্দের প্রশংসা করেছিলেন এই নির্মাতা।
নতুন ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘যেটা খারাপ কাজ সেটাকে খারাপ বলতে আমার দ্বিধা নাই। আরেক পেজ থেকে ফটো নিয়ে নিজেদের বলে চালানো নিঃসন্দেহে অসততা! এক গরু কয়েকবার কোরবানি করাও অসততা। এক মজিদ চাচাকে সব জায়গায় হাজির করা হয়ে থাকলে সেটাও অসততা নিশ্চয়ই। এগুলো কোনোভাবেই ভালো ইমপ্রেশন দেয় না।’
ফারুকী লিখেছেন, ‘এখন এটা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের অপরিপক্কতা কি না সেটা মানুষ বিবেচনা করতে যাবে না। এর দায় টপ ম্যানেজম্যান্টের উপরও নিশ্চয়ই বর্তাবে। যদিও এগুলা কোনোটাই এখন পর্যন্ত এরকম কিছু প্রমাণ করে না যে তারা ফান্ডের অপব্যবহার করেছে, বা তারা আসলেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সৃষ্টি।
‘বিদ্যানন্দকেই তাদের এই আবর্জনাগুলা পরিষ্কার করতে হবে। যারা বিদ্যানন্দকে আতশী কাচের নিচে রেখেছেন, রাখেন! তাদের ভুল দেখলে ধরিয়ে দেন। কিন্তু এটাকে যেনো একটা প্রায় যুদ্ধের পর্যায়ে আমরা নিয়ে না যাই। বিদ্যানন্দের কাজ আমাদের চোখে পড়েছিলো, ভালো লেগেছিলো, সেই জন্য প্রশংসা করেছি। খারাপ কাজ করলে সমালোচনা করতে এক মুহূর্তও দেরি করবো না।’
আরও পড়ুন: বিদ্যানন্দের দুঃখপ্রকাশ
এই নির্মাতা লিখেছেন, ‘অনেকেই আমাকে লিখেছেন, আপনারা তো আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন নিয়ে লিখেন না! ভাই, জানলে বা তাদের কাজ চোখে পড়লে অবশ্যই লিখবো। আমি কোনো ক্যাম্পান্ধ (ক্যাম্পের অন্ধ অনুসারী অর্থে) মানুষ না, ভাই। আমার বাবা তার জীবনের তিরিশ বছর কাটিয়েছিলেন মসজিদ-মাদ্রাসা আর চ্যারিটি নিয়ে। কে চ্যারিটি করছে, সেটা নিয়ে আমার কোনোই উত্তেজনা বা বিরাগ নাই।
‘বিড়াল সাদা না কালো, তার চেয়ে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিড়াল ইঁদুর ধরতে পারছে কি না। আপনাদের কাছেও যেনো এটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, এই দোয়া করি। বিড়ালের রং বা পরিচয় দিয়ে যেনো বিড়ালকে জাজ না করি আমরা।’
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার একুশে পদক পাওয়া বিদ্যানন্দের আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এছাড়া মজিদ নামের একই ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে আলাদা আলাদা ঘটনার জন্য পোস্ট দেয়া ও ফেসবুকের একটি গ্রুপ থেকে নিয়ে কোনো ক্রেডিট ছাড়াই কয়েকটি ছবি দিয়ে বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়তার আহ্বান জানানোর ঘটনায়ও সমালোচনার মুখে পড়েছে সংগঠনটি।