এক জেলাতেই শূন্য সহকারী শিক্ষকের ২৫৮ পদ, অধ্যক্ষের ১৩৫টি

এক জেলাতেই শূন্য সহকারী শিক্ষকের ২৫৮ পদ, অধ্যক্ষের ১৩৫টি
এক জেলাতেই শূন্য সহকারী শিক্ষকের ২৫৮ পদ, অধ্যক্ষের ১৩৫টি  © ফাইল ছবি

পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলায় ২৫৮ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য পড়ে আছে। এছাড়া এ জেলায় প্রধান শিক্ষকেরও ১৩৫ পদ খালি পড়ে রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক আদেশের কারণে প্রায় দুই বছর ধরে ঝুলে আছে এসব শূন্য পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া।

জানা গেছে, জেলায় ২৫৮ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য ছাড়াও নতুন করে আরো ১৫০টি সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য হয়েছে।

এই অবস্থায় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে দেওয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনার কারণে সংক্ষুব্ধ হয়ে জেলা সদরের দু’জন নাগরিকের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ির যুগ্ম জেলা জজ আদালত নিয়োগ বন্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

গত বুধবার সকালে আদালতে জনস্বার্থে আবেদনটি দাখিল করেন সাধারণ নাগরিক অংহ্লাগ্য মারমা ও ২০২১ সালের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী আওঅং মারমা। তারা আবেদনে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করেন। 

এর আগেও দু’বছর আগে একই ধরনের নির্দেশনা জারি করেছিল পার্বত্য মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন: সেসিপে বড় নিয়োগ আসছে

এদিকে ওই আবেদন আমলে নিয়ে বুধবার বিকেলে খাগড়াছড়ির যুগ্ম জেলা জজ মাহমুদুল ইসলামের আদালত পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ দেন। আদেশ অনুযায়ী আগামী ৮ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ হামিদা বেগম বলেন, অফিশিয়ালি বিষয়টি এখনো জানি না। আদালতের নোটিস পেলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় জবাব দেওয়া হবে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমিন জানান, ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি’ এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রবিধান অনুযায়ী যেকোনো ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রে পরিষদ চেয়ারম্যানের এখতিয়ার সুস্পষ্ট করা আছে। সেই মতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বিদ্যমান ২৫৮টি শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ