বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আবারো শীর্ষে ঢাকা
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। বসন্তের শুরু ঢাকার দূষণ যেন শীর্ষস্থান থেকে নামতেই চাইছে না। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকার বাতাসের মান “অস্বাস্থ্যকর” অবস্থায় আবারো রয়েছে শীর্ষে।
বুধবার (১ মার্চ) সকাল ১০টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯৮ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ঢাকা। এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে একাধিকবার এই তালিকায় সবার উপরে উঠে আসে ঢাকা।
বুধবার সকালে একিউআই স্কোর ১৯৪ ও ১৯১ নিয়ে যথাক্রমে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীনের উহান ও নেপালের কাঠমান্ডু।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ পর্যন্ত “অস্বাস্থ্যকর” হিসেবে বিবেচিত হয় বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: কাল ঢাবি-বুয়েটসহ রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউ সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম ১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজন (৩৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।