১৪ নভেম্বর ২০২২, ২০:৪০

আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে জানে বাঁচলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী

ছবিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ  © টিডিসি ফটো

সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় জানে বেঁচে ফিরেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদরের বিএডিসি মাঠে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। দু’পক্ষের মারামারির মাঝে নেতাকর্মীরা ঢাল হয়ে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা  জানান, এদিন দুপুরে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে মঞ্চে উঠা নিয়ে সভায় সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়া ও প্রদীপ রায়ের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষ এক অপরকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ও চেয়ার ছুড়ে। দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়ার সমর্থকদের মঞ্চে উঠতে না দেওয়ায় সভা শুরুর পর পর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে।

আহতরা হলেন- দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান চৌধুরী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা এবাদুর রহমান কুবাদ, পৌর কাউন্সিলর এবিএম মাসুম প্রদীপ প্রমুখ।

আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হলেই ছাত্রলীগের ২২১ নেতা!

সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুল সামাদ আজাদ ডন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সহ-সভাপতি নোমন বখত পলিনসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তারা চেয়ারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আত্মরক্ষা করেন।

পরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষের একঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের সম্মেলন শুরু হয়। দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

সংঘর্ষের শুরুতে স্থানীয় কুলঞ্জ গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আজমল হোসেন চৌধুরী নিহত হয়েছেন বলে প্রচার হয়ে আসছিলো। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া দাবি করেছেন নিহত আজমল তার কর্মী। সংঘর্ষের সময় তার সামনে প্রতিপক্ষের ইটের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর আজমলের মৃত্যু হয়েছে’। তবে অপরপক্ষ এটাকে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ বলে দাবি করছে।