দুই দশকে শিক্ষাব্যবস্থার ভয়াবহ সাম্প্রদায়িকীকরণ হয়েছে: ছাত্র ফ্রন্ট
গত দুই দশকে শিক্ষাব্যবস্থার ভয়াবহ সাম্প্রদায়িকীকরণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। এইচ.এস.সি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের বাংলা ১ম পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক উদ্দীপকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (৯ নভেম্বর) এ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গত ৬ নভেম্বর এইচ.এস.সি পরীক্ষা শুরু হয়। শুরুর পরীক্ষাতেই ঢাকা বোর্ডের প্রশ্নপত্রের ১১নং প্রশ্নের উদ্দীপকে ন্যাক্কারজনকভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বার্তা রাখা হয়েছ। গত দুই দশক ধরে গোটা শিক্ষা ব্যাবস্থার যে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়েছে, এই ঘটনা তারই একটি নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রশ্নপত্র প্রণয়নের পর সেটি বেশ কয়েকটি দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের সচেতন পরীক্ষা নিরিক্ষার পরই চুড়ান্ত করা হয়। এটা লজ্জাজনক যে এরকম একটি স্পর্শকাতর বিষয় কারোরই নজরে পড়লো না।
আরও পড়ুন: শীতলক্ষ্যায় লাশের মিছিল থামছে না।
সরকার অসাম্প্রদায়িকতার বাগাড়ম্বর করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত করে শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ধ্বংস করছে। এর ফলে শিশু বয়স থেকেই সাম্প্রদায়িক ধ্যান ধারণা নিয়ে বেড়ে উঠছে একাধিক প্রজন্ম। এর ফলে ইতোমধ্যেই ভয়াবহ বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে এই দেশ।
এছাড়া এই প্রশ্নপত্র প্রনয়ণ ও চুড়ান্তকরণ প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিচারের দাবি এবং অবিলম্বে সরকারকে শিক্ষার সাম্প্রদায়িকীকরণ নীতি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তারা।
উল্লেখ্য, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রথম দিনই দুই শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্রে একটি উদ্দীপকে মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়ার মতো কথামালাযুক্ত প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। আর কুমিল্লা বোর্ডের প্রশ্নে ‘পীর’ সংক্রান্ত শব্দগত দিক জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষা প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।