৪০তম বিসিএসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ২য় হাবিপ্রবি
৪০তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার গেজেটে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) থেকে প্রায় ৩৩ জন শিক্ষার্থী ক্যাডার হয়েছেন। যা বাংলাদেশের সব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২য় সর্বোচ্চ। প্রথম হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
আগের কয়েকটি বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, অন্যান্য সব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে হাবিপ্রবির অবস্থান এক শাবিপ্রবির পরে। সাবেক শিক্ষার্থীদের এমন অর্জনে খুশি বর্তমানে বিভিন্ন অনুষদে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।
৪০ তম বিসিএস-এর প্রকাশিত গেজেট থেকে জানা যায়, প্রশাসন ক্যাডার পেয়েছেন হাবিপ্রবির কম্পিউটার সাইন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষার্থী ফাহমিদা আক্তার। পুলিশ ক্যাডার পেয়েছেন ভিটেরিনারি এ্যান্ড এনিমেল সাইন্স অনুষদের শিক্ষার্থী মো. রুহুল আমিন লাবু।
প্রাণিসম্পদ ক্যাডার পেয়েছেন হাবিপ্রবির এগারো শিক্ষার্থী। তারা হলেন- মো. নোমান আলী, সজীব হাওলাদার, মোছা. হোসনে আরা খাতুন, ডা. মো. আব্দুল করিম, মো. নূরে-ই- আলম সিদ্দিক (নয়ন), মো. আখতারুজ্জামান লোটাস, মো. জাহেদুল ইসলাম জাহিদ, উৎপল রায়, মো. মেজবাবুল হোসেন, আরিফা পারভীন ও মো. সিরাজউদ্দিন।
কৃষি ক্যাডার পেয়েছেন হাবিপ্রবির ১৪ জন। তারা হলেন- মোছা. মোর্শেদা খাতুন, ফারিহা তিলাত নিলয়, দিলরুবা ইয়াসমিন লাকি, ইসরাত জাহান লিমা, হুমায়রা বিনতে আলী, শাহাজাহান আলী সরদার, মোছা. মাসকুরা খাতুন, মো. আ. ছালাম নিরব, সাবরিনা মুস্তারি মুমু, মো. হাসানুজ্জামান, মো. জহির রায়হান, মোছা. সাদিয়া সুলতানা, রুহুল আমিন সরকার ও মোসাদ্দেক লাভলু।
আরো পড়ুন: ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি আজ
মৎস্য ক্যাডার পেয়েছেন হাবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী। তারা হলেন কৌশিক সরকার (জিৎ) ও মো. মোকাররম হোসেন। সমবায় ক্যাডার পেয়েছেন কৃষি প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী তাঞ্জিমুন নাহিদ। শিক্ষা ক্যাডার পেয়েছেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষার্থী মো. নজরুল ইসলাম শিমুল ও মো. গোলাম রাব্বানী এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আনোয়ারুল ইসলাম ।
চূড়ান্তভাবে মনোনীত হওয়া ফারিহা তিলাত নিলয় বলেন, ‘মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত ও কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছি। সবাই অনেক পরিশ্রম করেছে। কিন্তু অনেকের হয়ত ভাগ্য সহায় হয়নি। আল্লাহর রহমত আর বাবা-মা এর দোয়ায় আজ এখানে আসতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ! আমার বাবা-মা এর একটা বিশাল সার্পোট ছিল এই লম্বা পথ পাড়ি দিতে।’
তিনি বলেন, ‘তাদের সাহায্য ছাড়া আমার এতদূর আসা সম্ভব হত না, বিশেষ করে আমার বাবার অনেক অবদান এ সাফল্যের পেছনে। তাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি আমি আমার সম্মানীত শিক্ষক ও সহপাঠীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
কৌশিক সরকার (জিৎ) বলেন, ‘২০১৮ সালে প্রকাশিত সার্কুলারের গেজেট হল ২০২২ সালের ১ নভেম্বর। একটা স্বপ্নের জন্য অপেক্ষা আর ধৈর্যের এই সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে এমন কোনো বিসিএস ব্যাচ আছে বলে আমার জানা নেই! তাই গেজেটেড হবার খবরটা আমার কাছে একটা অসাধারণ অনুভূতি একইসঙ্গে স্বস্তিদায়ক, তৃপ্তিদায়ক এবং স্বপ্ন পূরণের পাথেয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি আমার এ দীর্ঘ বিসিএস জার্নিতে সহযোগিতা করেছেন, আমার চলার পথকে সহজ করেছেন, সর্বোপরি আমার উপর বিশ্বাস রেখেছেন- তাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’