চিপস কিনতে গিয়ে নিখোঁজ, তিন দিন পর মিললো শিশুর লাশ
চট্টগ্রামে নিখোঁজের তিন দিন পর মারজানা হক (৭) নামে এক শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে নগরের কোতোয়ালি থানার জামাল খান এলাকার একটি নালা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মারজানা নগরের জামাল খান এলাকার বাসিন্দা আবদুল হকের ছোট মেয়ে। সে কুসুম কুমারী বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার ২০ টাকা নিয়ে বিস্কুট কিনতে বাসা থেকে বের হয় মারজান। আধাঘন্টা হলেও ফিরে না আসায় খোজঁখুজি করেন স্বজনরা। আশেপাশের এলাকায় মাইকিংও করা হয়। কোথাও না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করেন। পরে নগরের কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সন্দেহ থেকে তারা জামালখানের সব নালা-নর্দমায় খুঁজতে গিয়ে বিকালে বস্তাবন্দি লাশ আকৃতির কিছু একটা দেখতে পান। জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ফোন দিলে কোতোয়ালি থানা থেকে একাধিক পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের বড় বোন সালেহা আক্তার জানান, তাদের কোনো শত্রু নেই। কী কারণে এ ঘটনা, তারা বুঝতে পারছেন না। তবে জামাল খান এলাকায় এক যুবক স্কুলে আসা–যাওয়ার পথে শিশুটির সঙ্গে কথা বলতেন। এ ঘটনায় ওই যুবক জড়িত কি না, তদন্তের দাবি তাঁদের। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চান তারা।
আরও পড়ুন: শীর্ষ জার্নাল ন্যাচারে বাংলাদেশি গবেষকদের প্রবন্ধ।
পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান বলেন, মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি আমরা। পুলিশ ও ক্রাইম সিন বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছে। আলামত সংগ্রহ হলে সুরতহাল করে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট এসে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছে। শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না, তদন্ত করা হচ্ছে।