একই সাথে দুই পেশা, ১২ শিক্ষককে শোকজ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © ফাইল ছবি

শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করায় ১২ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বরের নোটিশপ্রাপ্তদের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত রোববার শেরপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নোটিশে হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২২ এর অনুচ্ছেদ ১১.১৭, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর অনুচ্ছেদ ১১.১০(ক) এবং বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ এর অনুচ্ছেদ ১৫.১ অনুযায়ী এমপিওভুক্ত কোনও শিক্ষক-কর্মচারী একইসঙ্গে একাধিক কোনও পদে/চাকরি বা আর্থিক লাভজনক কোনও পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান। তিনি জানান, এমপিও নীতিমালার শর্ত ভঙ্গ করার তাদের শোকজ করা হয়েছে। চিঠির জবাব পাওয়ার তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এরপর তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

নোটিশ পাওয়া শিক্ষকরা হলেন- শেরপুর সদর উপজেলার ফসিউল দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. মেরাজ উদ্দিন (ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি ও দৈনিক ইনকিলাব), আল জামিয়াতুল ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষিকা ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা (দৈনিক আমাদের সময়), নকলা উপজেলার বানের্শ্বদী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন (দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ), কলাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদ (দৈনিক আজকের বসুন্ধরা), শাহরিয়ার দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ হযরত আলী (দৈনিক ইত্তেফাক), ঝিনাইগাতি উপজেলার ভটপুর আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম (দ্যা নিউ ন্যাশন ), শেরপুর সদরের মডেল গার্লস ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মাসুদ হাসান বাদল (দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন), নকলার চন্দ্রকোনা কলেজের প্রভাষক মহিউদ্দিন সোহেল (এসএ টিভি ও দৈনিক খোলা কাগজ), নকলার সরকারি হাজি জাল মাহমুদ কলেজের প্রভাষক ড. মোহাম্মদ আনিসুর রহমান আকন্দ (দ্য ডেইলি ইনডিপেনডেন্ট), সরকারি হাজি জাল মাহমুদ কলেজের প্রভাষক আব্দুল মোত্তালিব সেলিম (দৈনিক ভোরের কাগজ ), শেরপুর সদরের নিজাম উদ্দিন কলেজের প্রভাষক যথাক্রমে রীতেশ কর্মকার (দৈনিক পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিন) ও মো. মোক্তারুজ্জামান (দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন)।


সর্বশেষ সংবাদ