ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বাংলাদেশের যেসব জেলা ঝুঁকিতে

ঘূর্ণিঝড়
ঘূর্ণিঝড়  © সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর প্রভাবে দেশের ১৯টি জেলা ঝুঁকিতে আছে। এতে তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি রোববার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আগামী ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। তাতে ১৯টি জেলা ঝুঁকিতে আছে। এতে তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি আকারে বড় হলেও দুর্বল হবে। তবে, সিত্রাং সুপার সাইক্লোনে রূপ নেবে না বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যে আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এ জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আরও পড়ুন: উত্তাল হয়ে উঠছে সাগর, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

প্রতিমন্ত্রী জানান, কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৭৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়েই এটি আঘাত আনতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর সতর্কসংকেত এবং নদীবন্দরগুলোতে দুই নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (পঞ্চম) আরও বলা হয়, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় উত্তাল রয়েছে সাগর।

এ সময় বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করে দ্রুত সময়ে তীরে ফিরতে অনুরোধ করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ