হাইকোর্টে জামিন চাইলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্নি
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ জামিন আবেদন উপস্থাপন করা হয়।
আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মিন্নি খালাস চেয়ে আপিল করেন।
২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। অন্য চার আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
নিয়ম অনুযায়ী, আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য একই বছরের ৪ অক্টোবর (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ৭ বিষয়ের চারটিতেই ফেল বরগুনার আলোচিত সেই মিন্নি
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)। খালাসপ্রাপ্ত ৪ আসামি হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ।
ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেন পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড একই বছরের ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।