সিলিন্ডার গ্যাসের আগুনে দগ্ধ কলেজ শিক্ষিকার মৃত্যু
লালমনিরহাটে সিলিন্ডার গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়ে কলেজ শিক্ষিকার মৃত্যু ঘটেছে। রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ দুর্ঘটনার শিকার হন মোছা. পারুল বানু।
রবিবার রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডারে সরকারি কোয়ার্টারের বাসায় রাতে অগ্নিদগ্ধ হন পারুল। রাতেই তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত পারুল বানু উপজেলার তুষভান্ডার মহিলা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। তার স্বামী একই কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক। তাদের দুজনের বাড়ি রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলায়। কলেজে শিক্ষকতার সুবাদে তারা উপজেলা সদরের কোয়ার্টারে ভাড়া থাকতেন। তাদের একটি সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে মারধর, নববধূ গ্রেফতার
নিহতের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, 'রবিবার রাত আড়াইটার দিকে পারুল রোজা রাখার জন্য সেহরি খেতে ওঠেন। এ সময় তরকারি গরম করার জন্য গ্যাসের লাইন দিয়ে ম্যাচের কাঠি জ্বালালে রান্নাঘর জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পরে। এ সময় তার গায়েও আগুন লেগে যায়। গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে গ্যাস আগে থেকেই ঘরে ছড়িয়ে ছিল ধারণা পরিবারের। সেই সঙ্গে রান্নাঘরের দরজা জানালা বন্ধ থাকার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।'
নিহতের স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘সম্ভবত জানালা বন্ধ থাকায় রান্নাঘরে গ্যাস জমে গিয়েছিল। পারুল সেহরি করার জন্য তরকারি গরম করার সময় চুলা ধরাতে গেলে হঠাৎ ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে তার চিৎকারে পাশের বাসার লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে। পারুলের শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন।’
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানতে পেরে খবর নিয়েছি। ওই শিক্ষিকার পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ রাজশাহীতে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’