করোনাকালে দেশে ১০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে

শিক্ষার্থী
শিক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস মহামারিকালে সারা দেশে ১০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র শিশুরা লেখাপড়া করত। এসব শিক্ষার্থীর শিক্ষাগ্রহণ এখন সংকটের মুখে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে শিশু অধিকারবিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভায় আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সংগঠন ইউনিসেফের প্রতিনিধি নায়ার হক এ তথ্য দিয়েছেন।

ইউনিসেফ পরিচালিত প্রজন্ম (শিশু) সংসদের (ছায়া সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩) এই সদস্য আরো জানান, বর্তমানে দেশের ৪১ শতাংশ শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। এ ছাড়া করোনাকালে বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম বেড়েছে। এই পরিস্থিতির উন্নয়নে জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ শিশু সুরক্ষা খাতে বরাদ্দের প্রয়োজন রয়েছে বলে মত দেন তিনি।

গতকালের এই সভায় সভাপতি ছিলেন সংসদীয় ককাসের চেয়ারম্যান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। ইউনিসেফের প্রতিনিধির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, শিশু সুরক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ এবং তার ব্যয়নির্বাহে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। শিশুদের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বাজেট বরাদ্দ থাকলেও তার নির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা না থাকায় ওই অর্থ যথাযথভাবে ব্যয়ের ক্ষেত্রে নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। সে জন্য একটি সুনির্দিষ্ট শিশু বাজেট প্রণয়ন হলে বাজেটের পরিকল্পিত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

সভায় ডেপুটি স্পিকার আরো বলেন, শিশু রক্ষায় রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় নিছক ব্যয় নয়, এটা বিনিয়োগ। আজকের এই সব শিশুই দেশ ও জাতি গঠনে একদিন দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে শিশুদের সুরক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দেশি-বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ডেপুটি স্পিকার।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনের ক্ষেত্রে শিশুদের জন্য সব সময় আন্তরিক ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ