ছোটবেলায় এই গানে অনেক নেচেছি, এখন শুনছি কপিরাইট: শাওন

যুবতী রাধে গান গেয়ে বিতর্কে পড়েছেন চঞ্চল ও শাওন
যুবতী রাধে গান গেয়ে বিতর্কে পড়েছেন চঞ্চল ও শাওন  © সংগৃহীত

চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওনের গাওয়া ‘যুবতী রাধে’ গান নিয়ে চলছে বিতর্ক। তবে এটি নিয়ে চরম বিভ্রান্ত বলে জানিয়েছেন শাওন। একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, গানটি গাওয়ার প্রস্তাব পেয়েই রাজি হয়ে যান তিনি। কারণ গানের প্রথম লাইনের কথা ও সুর তাঁর ছোটবেলা থেকে শোনা। পার্থ বড়ুয়ার সংগীতায়োজনে গানটি তারা গেয়েছেন।

শাওন বললেন, ‘শুক্লা সরকারের স্টুডেন্ট আমি। জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে ছোটবেলায় এই গানে অনেক নেচেছি। কৃষ্ণ সেজে নাচতাম, তাই গানের কথা মনে আছে। ভেবেছি ছোটবেলার সেই গানটা গাইব। ইউটিউবে গানটা খুঁজতে গিয়ে ২৫-৩০টি ভার্সন পেয়েছি, কথা একটু এদিক-ওদিক সুর একই। প্রতিটা ভার্সনের ক্রেডিট লাইনে প্রচলিত গান, সংগৃহীত লেখা। গীতিকার বা সুরকারের নাম লেখা নেই। আমার তো জানার উপায় নেই, গানটি কোন ব্যান্ড দল কপিরাইট নিয়েছে।

গানটি প্রকাশিত হলে সবাই প্রশংসা করেন চঞ্চল ও শাওনের। শাওন বলেন, ‘গান প্রকাশের পর কপিরাইট ক্লেইম করে ইউটিউব থেকে নামিয়ে দেওয়া হলো!তখনই জানলাম, গানটি সরলপুর ব্যান্ডের। এটা হয়তো আমার দীনতা, দলটার নাম জানতাম না। তাঁদের দাবি, কপিরাইট তাদের করা, গানটা তাঁদের লেখা। জানার পর শকড হলাম, কেন আগে থেকে জানলাম না। সরলপুর ব্যান্ড বলেছে, গানটা ২০০৮ সালে এক বাউলসাধক ও সাধন সঙ্গিনীর কাছ থেকে পেয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে বিবৃতিতে দেখলাম, তাঁদের লেখা মৌলিক গান। অথচ ইন্টারভিউতে তাঁরা বললেন, ৩০ ভাগ বাউল সাধকের কাছ থেকে পেয়েছেন, ৭০ ভাগ তাঁদের লেখা! সুরও নাকি তাঁদের করা! আমি আরও বিভ্রান্ত। তাঁরা কী বোঝাতে চাইছেন, বুঝতে পারছি না।’ তবে সরলপুর ব্যান্ডের সদস্য মারজিয়া তুরিন বলেন, ‘দ্যাট ওয়াজ আওয়ার মিসটেক। আমরা কখনো ভাবিনি, গানটি অ্যালবাম আকারে বের করার আগে এভাবে কেউ করবে। আমরা তো খুব ইয়াং ব্যান্ড। অনেক কিছু জানতাম না। এখন মাশুল দিচ্ছি।’

এতে শাওনের প্রশ্ন, ৩০ ভাগ বাউল সাধকের অংশ, সেটা আলাদা করে বললেন না কেন? ইউটিউবে তাঁরা কপিরাইট রেসট্রিকটেড লেখেননি কেন? গীতিকার-সুরকারের নামও লেখেননি। সরলপুর ব্যান্ড বাউল সাধকের কৃতিত্ব কেন দিলেন না? যদি দিতেন, অন্য অনেকে তা জানতে পারত। সেটার কপিরাইট কীভাবে হয়?

তিনি বলেন, ‘সরলপুর ব্যান্ড সদস্যরা ফেসবুকে অভিযোগ না করে ফোন, মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা মেসেঞ্জারে জানাতে পারতেন। আমরা একই জগতের মানুষ। সংগীতায়োজক পার্থ দা, তাঁকে খুঁজে বের করাটা কি খুবই কষ্টকর? চঞ্চল চৌধুরী আর আমাকে খুঁজে বের করে তারা বলতে পারত— গানটি সরলপুর ব্যান্ডের। কিছু না করে গানটি ইউটিউব থেকে নামিয়ে ফেলা হলো। ফেসবুকে প্রতিবাদ করা হলো! খারাপই লেগেছে। দুঃখজনক।’