ক্যাম্পাসে গণতন্ত্র দরকার, কারো একক মাস্তানি নয়
বুয়েটে ছাত্রলীগকে কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হবে না কেন? দেশের অন্যান্য ক্যাম্পাসে ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র শিবির, ছাত্রফ্রন্ট বা অন্যান্য ছাত্র সংগঠনকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে না— দেয়া যদি অন্যায় হয় তাহলে বুয়েটে ছাত্রলীগকে কাজ করতে না দেয়াও অন্যায়। এর মাঝে নতুন কী রাজনীতি আছে? অতীতের অন্যায় থেকে কী শিক্ষা নেয়া হচ্ছে?
প্রত্যেক ক্যাম্পাসে সকল ছাত্র সংগঠনকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে দেয়া দরকার। ক্যাম্পাসে ডেমোক্রেসি থাকা দরকার। কারো একক মাস্তানি নয়।
আরও পড়ুন: শোক সভার বিরোধিতা নয়, রাজনীতি পুনরুত্থানের শঙ্কা ছিল শিক্ষার্থীদের
কোন ছাত্র সংগঠনকে স্বাভাবিক সাংগঠনিক কাজ করতে না দেয়ার মাঝে এক ধরনের মাস্তানি থাকে— সেটা যে অজুহাতেই হোক। আবরার হত্যাকান্ড ছিল সেরকম মাস্তানিরই এক চূড়ান্ত ধরন। পুরো দেশ সেই মাস্তানির প্রতিবাদ নামার পর সেই প্রতিবাদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বুয়েটে শিক্ষার্থীদের সংগঠন করা নিষিদ্ধ করা হয়।
এটা ছিল কার্যত আবরার হত্যাকান্ডকে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া। ওই হত্যাকান্ডের বিষয়টি আদালতে আছে। আদালতে সেই ঘটনার ন্যায়বিচার হোক। কিন্তু তাকে উপলক্ষ্য করে ক্যাম্পাসে কারো গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া কতটা সঙ্গত? দৃষ্টান্ত হিসেবে এটা ফ্যাসিবাদী। প্রত্যেক ক্যাম্পাসে শিক্ষক-ছাত্র-ছাত্রী-কর্মচারি সকলের কথা বলার অধিকার থাকা দরকার।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী