১৯ এপ্রিল ২০২২, ২০:৫২

কথায় কথায় ছাত্রদের চাঁদাবাজ বলা অভ্যেসে দাঁড়িয়েছে: সেলিম উল্লাহ খোন্দকার

অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার

কথায় কথায় ছাত্রদের চাঁদাবাজ বলা অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। আজ মঙ্গলবার ( ১৯ এপ্রিল) তার ফেসবুক আইডি থেকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, কথায় কথায় ছাত্রদের চাঁদাবাজ বলা আমাদের অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গেছে। ঘটনায় চাঁদাবাজি ছিলো না। আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা। তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চাই।

এদিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে ব্যবসায়ীদের সংর্ঘষের ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করেন প্রথম আলোর সাবেক রিপোর্টার ও ব্র্যাকের হেড অব মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম শরিফুল হাসান। তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে আইডিতে এক স্ট্যাটাসে বলেন, কোন ঘটনা ঘটলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া খুব সহজ তাই না? এই যে একদল ব্যবসায়ী বছরের পর বছর ধরে গুন্ডামি করছে, কথায় কথায় তারা ক্রেতাদের জিম্মি করে, বাজে ব্যবহার করে, সুযোগ পেলেই ছাত্রদের পেটায়; কোন সাহসে এসব করে? আচ্ছা নিউমার্কেট আর এর আশেপাশের দোকান-ফুটপাত থেকে কোটি কোটি টাকা যে চাঁদা ওঠে কারা পায় সেগুলো?

আরও পড়ুন: ঢাকা কলেজ-ব্যবসায়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত যে কারণে

আচ্ছা এই যে গতরাত থেকে সংঘর্ষ হলো জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা কী ছিল? পুলিশের ভূমিকা কী যথার্থ ছিল? ক্ষমতাসীন দলের একজন লোকও কী ছিলো না যিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে যেতে পারতেন?

আমি গত ২০ বছরে অনেকবার দোকানদারদের সঙ্গে ছাত্রদের এই ধরনের সংঘর্ষ দেখছি। এই যে রোজার দিনে লাখো মানুষ কষ্ট পেলেন তার দায় কার? আমি মনে করি ক্যাম্পাস বন্ধ না করে সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা দরকার। ব্যবসায়ীরা যদি মনে করে ছাত্ররা কোন অন্যায় করেছে তারা কলেজ প্রশাসন বা পুলিশকে জানাক। কথায় কথায় ছাত্রদের মারবে কেন?

আমি মনে করি ব্যবসায়ীরা তাদের আচরণ না বদলালে আর এখানকার চাঁদাবাজি বন্ধ না করা গেলে আজীবন এই সমস্যা চলতে থাকবে। কাজেই আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক। ভোগান্তি দূর হোক মানুষের।