ধর্ষণ-মাদক— সবকিছুতে জড়িত ইমাম মওলানারা

তসলিমা নাসরিন
তসলিমা নাসরিন  © ফাইল ফটো

মধ্যযুগে যখন ইউরোপে গির্জার শাসন চলতো, সেই যুগকে বলা হয় ডার্ক এজেস বা অন্ধকার যুগ। গির্জার অন্যায় অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে রাষ্ট্রের শাসনভার গির্জার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিল।

ধর্ম যখন সভ্য সমাজে ক্রমশ অপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠতে লাগলো, গির্জা তখন অবিশ্বাসীদের এবং ঈশ্বরের নিন্দুকদের হত্যা করার অসহিষ্ণু সংকল্প থেকে সরে এলো, তারা গৃহহীনকে আশ্রয় দিতে লাগলো, ক্ষুধার্তদের খাবার দিতে লাগলো, তৃষ্ণার্তকে জল পান করাতে লাগলো- এই সেবামূলক কাজ করেই তারা সমাজে ধীরে ধীরে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠলো।

আমরা এখনও মন্দির মসজিদকে গির্জার মতো মানবতার সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখি না। এর কারণ বোধহয় এটিই যে এখনও মন্দির মসজিদের জনপ্রিয়তা প্রচণ্ড, এখনও মন্দির মসজিদের বিরুদ্ধে জনগণ যুদ্ধ ঘোষণা করেনি, এখনও তাদের প্রভাব এবং প্রতাপ ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য কোনও আন্দোলন গড়ে ওঠেনি।

কারণ এখনও ধার্মিকের সংখ্যা প্রচন্ড, এখনও ধর্মের ব্যবসা প্রচণ্ড লাভবান ব্যবসা। জনপ্রিয়তা হারালেই কি তবে গির্জার মতো মন্দির মসজিদ মানবতার সেবায় মনোযোগ দেবে? কিছু কিছু সেবায় মন্দির জড়িত থাকলেও, মসজিদকে খুব একটা সেবামূলক কাজে যোগ দিতে দেখা যায় না।

আজকাল তো বাংলাদেশের মসজিদ থেকে লাঠিসোটা নিয়ে ইসলামী রাষ্ট্রের দাবিতে লোকদের বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। ভায়োলেন্স, ধর্ষণ, মাদক- সবকিছুতে মসজিদ- মাদ্রাসার ইমাম আর মওলানাকে জড়িত থাকতে দেখা যায়। বলছি না সবাই জড়িত। কেউ কেউ জড়িত। কেউ কেউই বা জড়িত থাকবে কেন ধর্ম তাদের সৎ এবং নিষ্পাপ বানিয়েছে এই দাবিই যখন তারা জোর গলায় করে? [ফেসবুক থেকে সংগৃহীত]


সর্বশেষ সংবাদ