সম্মেলনের নামে রাজনৈতিক দলগুলোর ভণ্ডামি কবে থামবে?

ফারুক হাসান
ফারুক হাসান  © ফাইল ফটো

দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। দল দুটিতে প্রায় কয়েক যুগ ধরে শীর্ষ নেতৃত্বে কোন পরিবর্তন আসছে না। যা পরিবর্তন হয় তা কেবল সাধারণ সম্পাদক পদে তাও আবার পরিবারের কোন না কোন সদস্যের মনোনীত লোকই হয় সাধারণ সম্পাদক।

এইবার আসি আওয়ামীলীগের কথায়, দলটির জাতীয় সম্মেলন গতকালকে শেষ হলো এতে দেখা গেলো সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরও বহাল রয়েছেন। আ.লীগের রাজনীতি যারা করেন তাদের ৯৯% মানুষের ভাষ্য, দলটির সভাপতি পদে শেখ হাসিনার বিকল্প এখনো কেউ তৈরি হয় নি, তাই তিনিই থাকছেন সভাপতি।

এদিকে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের/মনোনীত করার একক এখতিয়ার সভাপতির রয়েছে, সভাপতিই সিলেক্ট করবেন কে হবে তাঁর রানিং মেট। এখন আমাদের প্রশ্ন হলো, কেন তাহলে জনগণের শতশত কোটি টাকা ব্যয়ে লোক দেখানো এরকম জাঁকজমক একটি জাতীয় সম্মেলন করা হলো?

যেহেতু সবাই আগে থেকেই জানে শেখ হাসিনাই সভাপতি হচ্ছেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে তিনিই তাঁর পছন্দমত ব্যক্তিকে নিয়ে নিবেন, তাহলে তো শত কোটি টাকা ব্যয় করার কোন দরকার ছিল না। একটা সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি ঘোষণা করে দিলেই তো পারতেন!

ঠিক বিএনপির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা, সর্বশেষ সম্মেলনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বেও কোন পরিবর্তন আসেনি। কি দরকার শুধু শুধু লোকদেখানো জাতীয় সম্মেলন করে এবং জনগণের টাকা নষ্ট করার? যদিনা দলের ভিতরেরই প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চা না হয়।

আজকে বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনৈতিক দলগুলো মুখে যতই গণতন্ত্রের ছবক তুলুক না কেন দলগুলোর অভ্যন্তরে ন্যূনতম গণতন্ত্র চর্চা আছে বলে আমার মনে হয় না। যাদের ভিতরেই গণতন্ত্র চর্চা নেই এরা ক্ষমতায় থেকে বা ক্ষমতায় গেলে জনগণকে কেমন গণতন্ত্র উপহার দিবে তা কিন্তু দেখায় যাচ্ছে। সময় এসেছে পরিবারতন্ত্রকে না বলার।

লেখক: যুগ্ম-আহবায়ক, ছাত্র অধিকার পরিষদ


সর্বশেষ সংবাদ