শিক্ষকতায় ফেরার পথটা বেশ কঠিন!

ড. রুশাদ ফরিদী
ড. রুশাদ ফরিদী   © টিডিসি ফটো

শিক্ষকতায় ফেরার পথটা বেশ কঠিন হবেই বলে মনে হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারে যোগদানের কাগজপত্র জমা দেয়ার পরে গতকাল বিভাগের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেয়ার জন্য অর্থনীতি বিভাগের অফিসে জমা দিতে গেলাম। দিতে গিয়ে একটা ধাক্কা খেলাম।

অফিস থেকে আমাকে জানানো হলো যে চেয়ারম্যান স্যার জানিয়েছেন উনার অনুমতি ছাড়া কোন চিঠি রিসিভ করা যাবে না।

যত জটিল বিষয়ই হোক চিঠি রিসিভ করা যাবে না সেটি জীবনের এই প্রথম শুনলাম। তখন চেয়ারম্যান স্যারের সাথে দেখা করতে গেলাম। দেখি উনি বেশ ব্যস্ত হয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছেন। আমি উনাকে বললাম ডিপার্টমেন্ট থেকে চিঠি রিসিভ করছে না।

তখন উনি বেশ বিরক্ত হয়ে বললেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কিছু না জানালে আমার বিষয়ে কিছু করতে একদম অপারগ। বিষয়টি শুনে আমি খুবই অবাক হলাম। বিভাগের চেয়ারম্যান হচ্ছে প্রশাসনিক বিষয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তি। উনার দায়িত্ব বিভাগের শিক্ষকদের বিষয় নিয়ে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা। আর একজন শিক্ষকের চাকরি নিয়ে এইরকম জটিলতা তো যথেষ্ট জরুরী একটা বিষয়। কিন্তু উনি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যেতে চাইলেন।

কিন্তু তারপরেও চিঠি রিসিভ না করার বিষয়টি একেবারেই বোধগম্য না। উনাকে জিজ্ঞেস করলে এর সদুত্তর না দিয়ে বলে বার বার বলতে লাগলেন যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছু না জানালে তিনি কিছু করতে পারবেন না। এই বলে চলে গেলেন। আজকে ফোনেও এই একই কথা বার বার বললেন।

আমি বিভাগে উপস্থিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বললাম আপনারা চিঠি রিসিভ না করলে আমি কি এই চিঠি এখন মাথায় নিয়ে ঘুরবো? তাঁরা আমার দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে থাকলো। শেষমেশ আর উপায়ন্তর না দেখে চেয়ারম্যান স্যারের কক্ষে ঢুকে উনার টেবিলের উপর চিঠি রেখে আসলাম।

আরও পড়ুন: ড. রুশাদ ফরিদীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের নির্দেশ


সর্বশেষ সংবাদ