ভিন্ন রকম স্বাদের গল্প
- আসমাউল মুত্তাকিন
- প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:৪০ PM , আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:২৩ PM
দিনটি শনিবার, ২৬শে অক্টোবর। আকাশে নেই কোনো মেঘ। যদিও শরৎকাল চলছে। তবু মাঝে মাঝে বৃষ্টি হয়। কারণ বাংলাদেশ ষড়ঋতু দেশ হলেও আগের মতো আর সেই ঋতুবৈচিত্র্য নেই। যাক এটা ভিন্ন বিষয় এটা নিয়ে কথা বলবো না।
চিন্তা করলাম। ইউনিভার্সিটিতে ক্লাশ নেই। তাই একটু ঘুমিয়ে নেওয়া যাক। ইঠাৎ ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই মাহাতাব হামিম ফোন দিলেন। তিনি বললে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আমাকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে। সেখানে আমার সহপাঠী তাসমিয়া ও রবিউল উপস্থিত।
যথা সময়ে সেখানে উপস্থিত আমি। ঘড়ি কাটা যখন ১২ ছুঁই ছুঁই তখন আমরাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজও শেষ। কাজ শেষ করে হাটা দিলাম টিএসসির উদ্দেশে। টিএসসির পূর্বে পাশের গেটের সামনে বিশাল একটা বিশেষ ভিন্নস্বাদের দোকান বসানো হয়েছে ভ্যান গাড়ির ওপর। হঠাৎই বান্ধবী নজর পড়ল সেই দোকানে। সেখানে এক মধ্যবয়সী যুবক কাচাঁকলা, তেতুল, বরই, আমড়া, ধনিয়া পাতা, মরিচসহ আরো কতো কী মিক্স করে একটা বিশেষ ধরণের জিনিস তৈরি করতেছেন।
জি বলছি ঢাকার টিএসসি চত্বরে মিক্স আচারের কথা। এই মিক্স আচার কেনার জন্য সেখানে অনেক তরুণ-তরুণীদের আনাগোনা হয়। বৃদ্ধরাও পিছয়ে থাকবে কেন। তারাও সেখানে যায় আচার খাওয়া জন্য।আচার বিক্রেতা মামা বলতেছেন একটা ভিন্ন শব্দ করে এই “আচার লন এক কাফ ১০ টাহা, এই আচার আর কোথাও পাবেন না”
কি আর করা। বান্ধবী তাসমিয়ার চিহ্বায় পানি চলে এসেছে। তার অনুরোধ বন্ধু রবিউল তিন কাফ আচার কিনে নিল।
আহা..!!!
চমৎকার..!!!
এক রকম ভিন্ন স্বাদ.!!!
মনে পড়ে যায় সেই ছোটবেলায় স্কুলে আচারে দোকানে আচার খাওয়ার কথা। আবার মনে পড়ে ছোট বেলায় ঝড়-বৃষ্টির দিনে আম কুড়িয়ে সেটা রোদে শুকিয়ে বানানো আচার খাওয়া কথা। আচার খায়নি এমন মানুষ বাংলাদেশে কমই আছে। আচারের বিভিন্ন রকমের হয়। আমের আচার, তেতুলের আচার, আমড়ার আচার আরও কতো ধরণের আচার।
এসব কিছু এখন অতীত। গ্রাম বাংলার সেই আচার এখন আর পাওয়া যায় না। যদি দোকানে পাওয়া যায় তা সেই আগের মতো স্বাদ হয় না।
শিক্ষার্থী: জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি