দেশে বৈমানিক প্রশিক্ষণের সুযোগ সম্প্রসারণ প্রয়োজন
- মো. আশারাফ হোসেন
- প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০১৯, ০৫:০২ PM , আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:১০ PM
প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রেরণ করে আসছেন। তাদের অধিকাংশই বিদেশে কায়িক শ্রম করে থাকেন। কারণ, তাদের পেশাদারী বা কারিগরি জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা নেই। বাংলাদেশ যথেষ্ট পরিমাণে উৎকৃষ্ট পেশাদার ও কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করলে প্রচুর পেশাদার ও কারিগরি মানসম্পন্ন অভিজ্ঞ লোক বিদেশে প্রেরণ সম্ভব হবে।
এতে করে তারা বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রেরণ করতে পারবেন। যা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়-ব্যায়ের ভারসাম্য রক্ষায় অবদান রাখবে।
বর্তমান পৃথিবীতে বে-সরকারী বিমান সেবা শিল্প যোগ্য, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ বিমান চালকের স্বল্পতায় ভূগছে। বিভিন্ন দেশে স্বনামধন্য অনেক বিমান সেবা প্রতিষ্ঠান বৈমানিকের অভাবে ফ্লাইট হ্রাস করতে বাধ্য হচ্ছে। বাংলাদেশের বিমান চালকগণ ইতোমধ্যে তাদের দক্ষতার জন্য যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন। কিন্তু দেশে বৈমানিক প্রশিক্ষণের সুযোগ অত্যন্ত সীমিত থাকায় এবং প্রশিক্ষণ ব্যয় অত্যন্ত বেশী হওয়ায় বাংলাদেশ যথেষ্ট পরিমাণে বৈমানিক তৈরি করতে পারছে না।
এক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশে বৈমানিক প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের ব্যয় হ্রাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বৈমানিক বিদেশে চাকুরী করে পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অবদান রাখতে পারবেন।