১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:২৭

বাংলাদেশের যে মেডিকেলে অমুসলিমদেরও হিজাব বাধ্যতামূলক

আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ  © সংগৃহীত

যশোরে আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজে অমুসলিম শিক্ষার্থীদেরকেও বাধ্যতামুলক হিজাব পড়তে হয়। ড্রেস কোড হিসেবে হিজাবকে বেছে নেয়ায় সব ধর্মের শিক্ষার্থীরা তা পরতে বাধ্য হচ্ছেন। ভর্তির সময়েই হিজাব পড়ার বিষয়ে লিখিত ‘সম্মতি’ নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষ একে হিজাব না বলে প্রতিষ্ঠানের ‘ড্রেস কোড’ হিসাবে দেখাচ্ছে।

আরও পড়ুন: আইপিএল নিলাম চলাকালীন জ্ঞান হারালেন সঞ্চালক

ভারতের কর্ণাটকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার পর এক নারী শিক্ষার্থীর প্রতিবাদ ভাইরাল হওয়ার পর বাংলাদেশের ওই মেডিক্যাল কলেজের হিজাবের বিষয়টি নিয়ে কথা উঠেছে। যশোরের পুলের হাটে আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এই কলেজের হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক ছাত্রী জানান, তাদেরও হিজাব পরেই ক্যাম্পাসে যেতে হয়। কারণ আমাদের ভর্তির সময় স্বাক্ষর করে নেয়া হয়েছিল যেন ড্রেস কোড মেনে চলি। এজন্য চাইলেও আমাদের প্রতিবাদ করার সুযোগ নেই।

মেডিকেল কলেজটি বলছে, এটি তাদের প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত। সবাই এটি মেনে নিয়েই সেখানে পড়াশোনা করছে। তবে এমন সিদ্ধান্ত কোনো প্রতিষ্ঠান নিতে পারবে না বলে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে।

২০১০ সালের ৪ অক্টোবর হাইকোর্ট এক রায়ে বলেছে, বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে কোনো ব্যক্তিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা যাবে না।

তবে উচ্চ আদালতের এই রায়ের পরের বছর যাত্রা শুরু করা যশোরের আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিক্যাল কলেজ আদালতের আদেশ মানছেনা। সেখানে মুসলিম মেয়েদের পাশাপাশি অমুসলিম শিক্ষার্থীদেরও হিজাব পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: ফুলে ফুলে সুশোভিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পরে থেকেই এই নিয়ম চালু রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের কারণে। তবে এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মুক্তাদিরের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিক্যাল কলেজে হিজাব বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি জানতোনা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখব এবং এ ধরনের অভিযোগ পেলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।