ভেন্টিলেশন খুলে নেওয়া হলেও এখনও আইসিইউতে আকিব
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২১, ০২:০৩ PM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:১৩ PM
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মাহাদি জে আকিবের অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাহাদির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায়, মাথায় ব্যান্ডেজ লাগানো। লেখা হয়েছে, ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’। আকিব এখন কিছুটা সুস্থ্য তবে এখন শঙ্কামুক্ত নয়।
সোমবার (১ নভেম্বর) চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাহাদির জ্ঞান ফিরেছে। তবে এখনও আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে আছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নোমান খালেদ চৌধুরী জানান, মাহাদি অনেকটা সুস্থ আছে। তার জ্ঞান ফিরেছে। তবে শঙ্কামুক্ত-এমনটা বলা যাবে না।
চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার জানান, মাহাদি আগের চেয়ে ভালো আছে। যেহেতু তার মাথার আঘাত, তাই এখনই বেডে দেওয়া হচ্ছে না। ভেন্টিলেশন খুলে নেওয়া হলেও এখনও আইসিইউতে আছে।
এদিকে ছেলে মাহাদি জে আকিব (২১) আইসিইউতে, লড়ছে জীবন বাঁচাতে। আইসিইউ’র বাইরে অপেক্ষারত বাবা গোলাম ফারুক মজুমদার। কিছুতেই যেন নিজেকে বুঝাতে পারছেন না। ছেলে চিকিৎসক হতে এসে এখন নিজেই নিচ্ছে চিকিৎসা। গোলাম ফারুক মজুমদার বলেন, রাজনীতির কারণে আমার ছেলের এই অবস্থা। আমি চাই, কারও সন্তানের যেন এ অবস্থা না হয়। আল্লাহ’র কাছে এখন শুধুই একটাই প্রার্থনা, আমার ছেলে যেন সুস্থ হয়ে ওঠে। শুধু বসে আছি ‘কখন বাবা ডাক শুনবো’।
তিনি আরও বলেন, ছেলেটা খুব মেধাবী। এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ পেয়ে নটরডেম কলেজে ভর্তি হয়। এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার ইচ্ছে ছিল ডাক্তার হবে, গরিবের সেবা করবে। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চমেকে পড়ার সুযোগ পায়। এখন ২য় বর্ষে পড়ছে। কিন্তু ছেলেটা আজ নিজেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার মাথায় যেভাবে আঘাত করা হয়েছে তাতে ভয় পাচ্ছি, এর প্রভাবে তার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যায় কি-না।
গত শুক্র এবং শনিবার চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় তিনজন। এদের মধ্যে মাহাদি জে আকিবের অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাহাদির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায়, মাথায় ব্যান্ডেজ লাগানো। লেখা হয়েছে, ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’।
চমেকে সংঘর্ষের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কলেজ। গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি। গত শনিবার রাতে কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।