কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ স্থাপনের ধীরগতিতে বিরক্ত প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © ফাইল ফটো

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ স্থাপনের কাজে অস্বাভাবিক বিলম্বের জন্য বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পটি ২০১২ সালে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাবনায় আনায় প্রধানমন্ত্রী এ বিরক্তি ও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

বৈঠকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী ফেরত পাঠানো হয়েছে। একই সাথে কেন প্রকল্পটি এখনও শেষ হয়নি তা তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে আজকের একনেক বৈঠকে ৯ হাজার ৫৬৯ কোটি ২৩ লাখ টাকার মোট ছয় প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সাপ্তাহিক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং একনেকের অন্য সদস্যরা এনইসি ভবন থেকে যুক্ত ছিলেন।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এটা (প্রকল্পের কাজের বিলম্ব) নিয়ে তীব্র অসন্তুষ্টি ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, এত বছর পরও প্রকল্পটি শেষ না হওয়ায় কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী খুব শিগগিরই আইএমইডি (বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ) এবং সংশ্লিষ্ট অন্য সংস্থাগুলোকে এটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে এর প্রতিবেদন দেন এবং আমি এটি বিবেচনা করব।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ প্রকল্পটি ২০১২ সালে শুরু হয়েছিল এবং মূল প্রকল্পের সময়সীমা অনুযায়ী ২০১৪ সালের মধ্যে এটি শেষ করার কথা। কিন্তু কয়েক দফা বাড়ানোর পর ২০১৯ সালে এটি শেষ করার কথা ছিল।

এখন প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনীতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবনা এসেছিল, তবে একনেকের বৈঠক এটি ফেরত পাঠিয়েছে। এত বছর কেটে গেলেও প্রকল্পের অগ্রগতি মোটেও সন্তোষজনক নয়।

এমএ মান্নান বলেন, শিগগিরই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত টিমকে কুষ্টিয়ায় প্রকল্পের বিলম্বের তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন সরকার প্রধানের কাছে দেয়ার পর গণমাধ্যমকেও জানানো হবে।


সর্বশেষ সংবাদ