দেশের গণমাধ্যমকে ‘বাতাবি লেবু’ আখ্যা চিকিৎসক-মেডিকেল শিক্ষার্থীদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৪, ০২:৫৫ PM , আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৩৫ PM
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও এ নিয়ে সৃষ্ট সংঘর্ষে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনসাধারণ হত্যার প্রতিবাদের আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে দেশের গণমাধ্যমকে ‘বাতাবি লেবু’ আখ্যা দিয়ে ধিক্কার জানিয়েছেন চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গণমাধ্যম নীরব ভূমিকা পালন করছে অভিযোগ তুলে তারা সত্য ও সঠিক খবর তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান জানান। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, সবাইকে সব খবর তুলে ধরতে হবে।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বক্তব্যকালে এক চিকিৎসক উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, হত্যার প্রতিবাদে যখন আমরা কর্মসূচি দিলাম দিলাম তখন দেখলাম থানায় সব মাইক নিয়ে গেছে। আপনারা (সাংবাদিকরা) কী কোন কথা বলবেন না? আমরা কি করতে পারবো।
এসময় মেডিকেল শিক্ষার্থীরা ‘ছি ছি’ ধ্বনি তুলতে থাকেন। তারা ‘ভুয়া, ভুয়া’ ধ্বনিতে সাংবাদিকদের তিরস্কার করেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ স্লোগান দিতে থাকেন, ‘বাতাবি লেবু ভুয়া, বাতাবি লেবু ভুয়া’। কেউ কেউ চিৎকার করে প্রশ্ন তোলেন, গণমাধ্যম কেন চুপ?
অপর এক নারী চিকিৎসক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের সন্তান গুলিবিদ্ধ হলে আমরা যদি বলি চিকিৎসা দেব না, পারবেন চুপ থাকতে? এ পর্যায়ে তারা স্লোগান শুরু করেন, ‘পা চাটলেই সঙ্গী, না চাটলেই জঙ্গী’।
এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে অপর এক চিকিৎসক বলেন, আপনাদেরও সহকর্মী মারা গেছেন, আমাদেরও সহকর্মী মারা গেছে, সবাইকে সব খবর তুলে ধরতে হবে। এসময় চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশে চিকিৎসক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর অনুগত শক্তি ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ‘লেলিয়ে দিয়ে হত্যাযজ্ঞ’ চালানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে অন্যান্য শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসলে ‘তাদের ওপরও একই কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়’। ‘আহতদের চিকিৎসা দিতে বা হাসপাতালে নিয়ে যেতেও দেওয়া হয়নি’ বলে দাবি করেন তারা।
তারা দাবি করেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে নির্যাতন চালানোর পর তা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে পরিণত হয়েছে’। চিকিৎসকরা সরকারকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে সরে দাঁড়ানোর দাবি জানান। বক্তব্য রাখার সময় তাদের অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন।