মেডিকেল প্রশ্নফাঁসে জড়িত স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বদলি

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী  © সংগৃহীত

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদীকে কুষ্টিয়া জেলায় বদলি করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকায় তার এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডা. সোলায়মান মেডিকেলে প্রশ্নফাঁস চক্রের মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হয়েও পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডা. মো. আকুল উদ্দিন পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদীর পাঁচবিবি থেকে কুষ্টিয়া জেলায় বদলীর আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদীর মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে গেল ১০ জানুয়ারি রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত হয়েছে। সেই প্রতিবেদন হাতে পাইনি যদিও তদন্তের প্রতিবেদনটি বিভাগীয় পরিচালকের কাছে জমা দেবে।

চাকরির বিধি অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মকর্তা ফৌজদারি মামলায় প্রেফতার, কারাবন্দি বা চার্জশিটভুক্ত হলে নির্দোষ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত বরখাস্ত থাকবেন। তবুও ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী বহাল তবিয়তে পাঁচবিবিতে চাকরি করছেন।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে ৩৩ তম বিসিএসে নিয়োগ পান ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী। সে সময়ে কর্মস্থল দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ হলেও মেডিকেলের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে (২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার হন তিনি। এরপর ২০২০ সালে সেই মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে।

মামলার বিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী বলেন, একটি চক্র আমাকে এ মামলায় ফাঁসিয়েছে। আগের পুরনো মামলার জের ধরে আমাকে বারবার সবার সামনে এনে হেনস্থা করছেন।

এর আগে ২০২১ সালের ৭ আগস্ট পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী যোগদান করেন। অল্পদিনে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা, রোগীর ভর্তি বৃদ্ধি ও মানুষের সেবা করে জায়গা করে নেন সর্বস্তরের মানুষের মনে।

নিজ উদ্যোগে হাসপাতালে নিয়ে আসেন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, শুরু করেন সিজারিয়ান অপারেশনসহ জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা সেবা। উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালটি এক সময়ে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকলেও ডা. মেহেদীর যোগদানের পর বদলে যায় চিত্র। রোগী, চিকিৎসক ও মানুষের আনাগোনায় হাসপাতালটি ছিল ভরপুর। এ কারণে উপজেলার সব মানুষের মনে জায়গা করে নেয় ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী।

সবকিছু যখন ঠিকঠাক চলছিল, তখন হঠাৎ করে খবর আসে ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদীকে অনত্র্য বদলি করা হয়েছে। বদলির কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি। তবে মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ।


সর্বশেষ সংবাদ