মেডিকেলের প্রশ্নফাঁসে জড়িত মেহেদী এখন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান

ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী
ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী  © সংগৃহীত

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি তিনি। ২০১৭ সালে জেলও খেটেছেন। তবে সব তথ্য গোপন করে এখন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ৩৩তম বিসিএসের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ পান ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী। তার কর্মস্থল ছিল দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ। ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর মেডিকেলের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে  রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার হন। ২০২০ সালে সেই মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে রাজধানীর কলাবাগান থানা ও খুলনায় তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হয়।

সূত্র বলছে, গত ৯ অক্টোবর রাজধানীর বিচারিক আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন ডা. মেহেদী। ওইদিন পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বায়োমেট্রিক হাজিরায় তার নামে পাশে ‘প্রশিক্ষণে রয়েছেন’ লেখা রয়েছে।

এ বিষয়ে ডা. মেহেদী গণমাধ্যমকে বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। গ্রেফতারও  হননি কখনো। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।

তবে ডা. মেহেদী মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস মামলার আসামি বলে জানিয়েছেন একই মামলার আরেক আসামি সাজ্জাদ হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডা. মেহেদীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল।’ 

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘জড়িত যদি না থাকতো তাহলে তার বিরুদ্ধে তো এজহার হতো না। পরবর্তীতে চার্জশিট হয়। প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ হয়েছে যে ডাক্তার মেহেদী এই মামলার সঙ্গে জড়িত আছে।’
 
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (শৃঙ্খলা) ডা. এ বি শামছুজ্জামান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা এ সংক্রান্ত তথ্যাদি চেয়ে এরপর তথ্যাদির ভিত্তিতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলব।’


সর্বশেষ সংবাদ