০৯ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩৭

স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছে ৫২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী

স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছে ৫২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী  © সংগৃহীত

দেশের ৫২ শতাংশ কিশোর-কিশোরীর জীবনযাত্রার মান খারাপ। এর মধ্যে আবার ৫ শতাংশের জীবনযাত্রার মান অত্যন্ত নিম্ন। এছাড়া দেশের লবণাক্ত এলাকার মানুষের ৬১ শতাংশই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষণায় দেশে জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতির এমন চিত্র উঠে এসেছে।

‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে শনিবার (০৮ এপ্রিল) এক অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত একাধিক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে কৈশোরকালীন জীবন মান; বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার অসংক্রামক রোগ ও ঝুঁকিসমূহ; যেমন খাদ্য, তেমন স্বাস্থ্য; চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষায় বিষয় বাছাইয়ের প্রবণতা ও প্রভাবিত হওয়ার কারণসমূহ এবং কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক।

আরও পড়ুন: কিশোর-কিশোরীদের যুদ্ধের গল্পের বই স্নেহার 'ভিনগ্রহী'

গবেষণা ফলাফলে দেখা যায়, ৫২ শতাংশ কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক মানের থেকে কম, এর মধ্যে ৫ শতাংশের জীবনমান অনেক খারাপ। দেখা গেছে, মূলত যাদের ভাই–বোন বেশি, যাদের বাড়িতে খাদ্য নিরাপত্তা কম, যারা বিষণ্নতা, উদ্বিগ্নতা এবং মানসিক চাপে ভুগছে তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জীবনযাত্রার মান খারাপ। 

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জীবনযাত্রার ভালোমানের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে, সন্তানের প্রতি পিতামাতার ভালো আচরণ, কিশোর-কিশোরীদের ভালো মানসিক অবস্থা এবং তাদের সমস্যা মোকাবিলা করার সক্ষমতা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম।

অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক বলেন, একশ জনে ৫২ জনের জীবনমান খারাপ থাকা অবশ্যই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নকল্পের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অবশ্যই কিশোর–কিশোরীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত-জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে হবে এবং এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নীতিমালা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।