১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:৩০

রায়ে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের প্রসঙ্গে কী বলছেন ট্রাইব্যুনাল

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং ১৪ দল ও আওয়ামী লীগের পতাকা  © সংগৃহীত ও সম্পাদিত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সাথে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে। রেফারেন্স হিসেবে এ রায় অন্যদের বিচারের সহযোগী হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তবে এ রায়ে ১৪ দল কিংবা কোনো সংগঠনের ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল কোনো পর্যবেক্ষণ জানাননি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এই রায় অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে রেফারেন্স হিসেবে বিচারের সহযোগী হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই ক্রাইমস এগেন্স্ট হিউম্যানিটিতে টপ কমান্ডারদের দায় যেখানে প্রমাণিত হয়েছে, সেটি পরবর্তীতে নিচের টায়ারের যে সমস্ত কমান্ডাররা আছেন বা ব্যক্তিরা যারা ক্রাইমস এগেন্স্ট হিউম্যানিটির সাথে সম্পৃক্ত, তাদের অপরাধ প্রমাণের ক্ষেত্রে ডেফিনেটলি একটা জুডিশিয়াল ডিসিশন হিসেবে এই রায়টি কাজ করবে। সেটা যথা নিয়মে যতটুকু প্রয়োগযোগ্য হবে, সেভাবেই প্রয়োগ হবে।’

আরও পড়ুন: যে কারণে আপিলের সুযোগ পাচ্ছেন না শেখ হাসিনা

তিনি বলেন, ‘তবে প্রত্যেকটি মামলায় প্রত্যেকটি আসামীর বিরুদ্ধে এভিডেন্সগুলো স্বতন্ত্রভাবেই দেওয়া হবে এবং প্রত্যেক আসামীকে তার নির্দোষিতা প্রমাণের যথোপযুক্ত সুযোগ দেওয়া হবে। তিনি চাইলে তার নির্দোষিতা প্রমাণের জন্য তার ডিফেন্স উইটনেসকে আনতে পারবেন। ডিফেন্স ডকুমেন্ট প্রডিউস করতে পারবেন। এই রায় একটা নজির হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু প্রত্যেকটি আসামী বা প্রত্যেকটি মামলার বিচার স্বতন্ত্রভাবেই অনুষ্ঠিত হবে।’

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আদালত আরেকটা অবজারভেশন দিয়েছেন যে আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলীয় জোট, যুবলীগ, তাদের ব্যাপারে- তারা যে একটা সন্ত্রাসী বা ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন, এটা প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সাবমিশন ছিল। আদালত বলেছেন, এটি যেহেতু আজকের এই মামলার বিচার্য বিষয় নয়, সে ব্যাপারে তারা কোন অবজারভেশন থেকে বিরত থাকছেন। অর্থাৎ তাদের ব্যাপারে প্রসিকিউশনের যে আলাদা তদন্ত চলমান আছে- দল হিসেবে একটা সংগঠনের ব্যাপারে যে তারা সত্যিকার অর্থে অপরাধী সংগঠন কিনা, সেটি একটি আলাদা মামলায় বিচার্য বিষয় হতে পারে। এই মামলাতে যেহেতু কোন দল-পক্ষ নয় বা আসামী হিসেবে সম্পৃক্ত করা হয়নি, সে ব্যাপারে আদালত দলীয়ভাবে কারো বিরুদ্ধে কোন অবজারভেশন দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন।