ঢাবির কর্মচারীদের পড়ুয়া সন্তানদের মাঝে "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" গ্রন্থ বিতরণ 

অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ বিতরণ
অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ বিতরণ   © টিডিসি ফটো

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)  তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের স্কুল-কলেজে অধ্যয়নরত সন্তানদের মাঝে "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" গ্রন্থ বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুর ২টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের বিজ্ঞান বিষয়ক উপ-সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের উদ্যোগে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  ঢাবি আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান এছাড়াও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম. মাকসুদুর রহমান।

ড. সীমা জামান শিশু এবং কিশোরদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা একজন ভালো মানুষ হতে চাই, দেশের জন্য কাজ করতে চাই, মানুষের সেবা করতে চাই। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে আমরা জানতে পারবো তিনি এই কাজ গুলো কীভাবে করেছেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আমার ডিপার্টমেন্টের ছাত্র ছিলেন, সেজন্যও আমি গর্বিত।

ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, একজন সৎ, সাহসী এবং বিনয়ী মানুষ হওয়ার জন্য আমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়তে হবে। তোমরা আরও জানবে যে বঙ্গবন্ধুও তোমাদের মতো খেলাধুলা পছন্দ করতেন। এবং তিনি একজন ভালো খেলোয়াড়ও ছিলেন।

ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, জীবনে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে পথ চলবো। বঙ্গবন্ধুর এই "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" বিতরণের মাধ্যমে আমরা আমরা জাতির পিতার জীবনাদর্শ প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। বড় হয়ে কেউ রাজনীতিবীদ হতে চাই, কেউ ডাক্তার হতে চাই, কেউ শিক্ষক হতে চাই। কিন্তু, যে যেখানেই থাকি না কেন সবাই বঙ্গবন্ধুর মতো সততা নিয়ে জীবন যাপন করবো।

এছাড়াও গ্রন্থ বিতরণের এক মাস পর  আবার পরীক্ষা নেওয়া হবে ও  যারা ভালো করবে তাদের সবাইকে আবারও বই, খাতা, কলম পুরস্কার দেওয়ার কথা জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ