গুচ্ছের সংকট ‘এনটিএ’-তে থাকবে না

ড. ফেরদৌস জামান
ড. ফেরদৌস জামান  © টিডিসি ফটো

শিক্ষার্থীদের  ভোগান্তি নিরসনে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একক ভর্তি পরীক্ষার আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক একটি নির্দেশনামূলক প্রজ্ঞাপনও জারি হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে (ইউজিসি) একক ভর্তি পরীক্ষার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। একক এই ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে কথা বলেছেন ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া—

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: একক ভর্তি পরীক্ষার জন্য ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ বিষয়ে অগ্রগতি কতদূর?
ড. ফেরদৌস জামান: যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিশ্বের উন্নত অনেক দেশেই একক ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই পদ্ধতি চালু রয়েছে। তবে অন্য দেশের পদ্ধতি আমাদের দেশে সফল নাও হতে পারে।

আমাদের দেশের উপযোগী করে এনটিএ গঠনের জন্য সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল তাদের চিঠি প্রদান করা হয়েছে এবং আগামী ৩০ দিনের মধ্যে মতামত জানাতে বলা হয়েছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এনটিএর কাঠামো এবং কার্যক্রম কেমন হবে
ড. ফেরদৌস জামান: বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষাগুলো যেমন বিভিন্ন বোর্ডের অধীনে নেওয়া হয় এটিও তেমন একটি সংস্থা হবে। দেশের সব উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়টি এনটিএর মাধ্যমে হবে। প্রথম পর্যায়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আওতাভুক্ত করা হবে এবং পরবর্তীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও এর আওতায় আনা হবে। জাতীয় সংসদে এর জন্য একটি আলাদা নীতিমালা পাস হবে এবং সেই অনুযায়ী এটি কাজ করবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে বর্তমানে অনেক অভিযোগ রয়েছে, এনটিএ এই জটিলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে কি?
ড. ফেরদৌস জামান:  গুচ্ছ পদ্ধতিতে সংকট থাকলেও এই সংকট প্রতি বছরই কমে আসছে। তবে গুচ্ছ এবং এনটিএর মধ্যে কাঠামোগত বা পদ্ধতিগত কোনো মিল নেই। তাই গুচ্ছে যেসব সংকট দেখা যাচ্ছে সেগুলো এনটিএতে তে থাকার কোনো সুযোগ নেই। এনটিএর ধারণা হয়তো এখনও অনেকে পূর্ণাঙ্গভাবে বুঝতে পারেনি তবে এটি এমন একটি কাঠামো হবে যা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে ভোগান্তি এবং জটিলতা উভয়ই কমাবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছের সংকট কাটিয়ে উঠতে কি ধরেনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে?
ড. ফেরদৌস জামান: গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিগত বছরে যেসব সংকট ছিল সেগুলো আইডেন্টিফাই করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেমন বিগত বছরে মাইগ্রেশনের কারণে ভর্তি প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়েছিল। এবছরে মাইগ্রেশনের নিয়মে পরিবর্তন আনা হবে। একজন একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইগ্রেট হওয়ার সুযোগ পাবেন না। মাইগ্রেশনের সুযোগ সীমিত হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে ধন্যবাদ।
ড. ফেরদৌস জামান: আপনাকেও ধন্যবাদ।


সর্বশেষ সংবাদ