প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:৩১ PM , আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৩৯ AM
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের শালিয়াবহ চৌরাস্তা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হানিফের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির চারজন সাবেক সভাপতিসহ এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানানো হয়েছে, গত ২০১০ সালের ৬ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক আবু হানিফের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেন ওই বিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষক। এরপর দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ পেলে বিদ্যালয়ের ৭৭ শিক্ষার্থী স্বাক্ষর দিয়ে তার অপসারণের দাবি করে।
পাশাপাশি তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্প্রতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য স্থানীয় এমপির একটি ডিও লেটার নিতে ঘুষ দেওয়ার কথা বলে প্রতিষ্ঠানের তহবিলের ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
একইভাবে স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেগম কোহিনুর আক্তারকে দেড় লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে প্রধান শিক্ষকের কাছে। তার ভাই মোজাম্মেল নিজ হাতে ঘুষ দেন বলে স্বীকার করেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আবুল হাসেম জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের আশি ভাগই সত্য। আমি এই প্রতিষ্ঠানে দুবার সভাপতি ছিলাম। প্রধান শিক্ষক আমাদের গ্রামের হওয়ায় আমি তাকে অনেক বিশ্বাস করতাম। যখন যেখানে স্বাক্ষর দিতে বলেছে, আমি কিছু না দেখেই স্বাক্ষর দিয়েছি। ২০১৫ সালে কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অর্থের বিনিময়ে বেগম কোহিনুর আক্তার নামে একজনকে নিয়োগ দেন। ছয় মাস চাকরি করার পর অন্যত্র চলে যান কোহিনুর। পরে তার স্থলে অবৈধভাবে শরীফা ইয়াসমিনকে নিয়োগ দিয়ে আট লাখ টাকা নেন তিনি।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান একাব্বর আলী বলেছেন, প্রধান শিক্ষক একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি। আমি সভাপতি থাকাকালীন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিল। পরে এলাকাবাসীর অনুরোধে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি।
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আমি কোনো দুর্নীতি বা অনিয়ম করিনি। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। তাদের প্রার্থী ঢুকাইতে পারেনি তো, সেই জন্য আমার বিরুদ্ধে তারা এ রকম অভিযোগ করছেন। আমি কারও কাছ থেকে টাকা-পয়সা খাইনি।
ঘাটাইল উপজেলা ইউএনও মো. সোহাগ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, এ রকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। এভাবে পাল্টাপাল্টি আরও অভিযোগ আসছে। আমি এসিল্যান্ডের কাছে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি তদন্ত করে আমার কাছে প্রতিবেদন জমা দেবেন।