যথাসময়ে এইচএসসি পরীক্ষা, পেছানোর সুযোগ নেই: সমন্বয়ক

যথাসময়ে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের প্রধান সমন্বয়ক
যথাসময়ে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের প্রধান সমন্বয়ক  © ফাইল ছবি

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা পেছানোর কো ধরনের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের প্রধান সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকদিন ক্লাস হয়েছে। তারা এখন পড়াশোনায় চলে আসছে। কম সিলেবাসে যথাসময়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষা পেছানো, অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন ও অটোপাসসহ পরীক্ষার্থীদের চলমান বেশকিছু দাবির বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আমরা বিভিন্ন ধরনের বিশেষজ্ঞাদের সঙ্গে কথা বলেই নিয়েছি। আমরা পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস কমিয়ে দিয়ে এ পরীক্ষাটা নিচ্ছি। এরমধ্যে আবার সব বিষয়েরও পরীক্ষা নিচ্ছি না। সিলেবাস কমিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র একটা পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরবর্তী ক্লাসে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

তিনি বলেন, পরীক্ষা পেছানো কিংবা পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া অন্য কোন ধরনের বিকল্প পদ্ধতির মূল্যায়নের সুযোগ নেই। স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা হলে যারা ফেল করে তারাই আসলে অটোপাস কিংবা বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ন দাবি করে। এদের সবাই ফেল না করলেও কমপক্ষে ২৭-২৮ শতাংশ ফেল করতো। এটা আমাদের কথা নয়, বিশেষজ্ঞরাও তাই বলছেন।

পড়ুন: প্রস্তুতিও শেষ হয়নি, সময়ও নেই এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের

শেষ সময়ে শিক্ষার্থীদের এ ধরনের দাবি অযৌক্তিক উল্লেখ করে বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, যারা ফেল করতো তাদের থেকে একটি অংশ এ দাবির বিষয়গুলো সামনে এনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। এ শ্রেণীটা স্যোশাল মিডিয়ায় খুব তৎপর। স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে তারা কমিউনিটি বড় করে। শেষ সময়ে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া উচিৎ।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের এইচএসসি এবং সমমান পরীক্ষা আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হবে। শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর। সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা— দুই শিফটে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

পরীক্ষা পদ্ধতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষায় প্রশ্ন পদ্ধতিও পরিবর্তন করা হয়েছে। তাদের ১০টার মধ্যে যেকোন দুইটা প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। যেখানে আগে ৫-৬টা প্রশ্নের উত্তর করতে হতো। প্রশ্ন কমানোর সঙ্গে সময়ও কমিয়ে দিয়েছি। এসবকিছুই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে। এরপরেও যারা বুঝতে চায় না তাদের আসলে সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব নয়।

পড়ুন: অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন চায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা

পরীক্ষার সিদ্ধান্ত ছাড়া বিকল্প কোন পথ কর্তৃপক্ষের ছিল। নেহাল আহমেদ বলেন, আমাদের একটা পথ ধরে আগাতে হবে। এছাড়া তো বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই। এখন যে পরীক্ষাটা নিচ্ছি সেটাতেও কিন্তু আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক থাকতো তাহলে আমরা সবগুলো সাবজেক্টে পরীক্ষা নিতে পারতাম। কিন্তু বাস্তাবতা তো পুরোপুরি বিপরীত।