১৮ বছর বেতন নেই, সর্বোচ্চ আদালতের দারস্থ ৩ শিক্ষক

  © সংগৃহীত

১৮ বছর ধরে বেতন না পাওয়ার দুঃখ-কষ্টের কথা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এসে বললেন তিন শিক্ষক। আগামী ২ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে আদেশ দেবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এমপিও সুবিধা পেতে ২০১৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন বগুড়ার জাহিদুর রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মিজানুর রহমান, ইসমত আরা ও সেলিনা আক্তার। সে রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালে হাইকোর্ট এই শিক্ষকদের পক্ষে রায় দেন। তবে সে রায়ের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু করোনাকালীন বাস্তবতায় এ বিষয়ে আর শুনানি হয়নি।

অতঃপর এই তিন শিক্ষক আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাচ বিচারপতির ভার্চুয়াল বেঞ্চে সংযুক্ত হয়ে দ্রুত এই লিভ টু আপিল শুনানি চান এবং ১৮ বছর বেতন না পাবার দুঃখ-কষ্টের কথা তুলে ধরেন। কোন আইনজীবী না নিতে পেরে শিক্ষক ইসমত আরা নিজেই আপিল বিভাগে কথা বলেন।

একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আপনারা ১৮ বছর বেতন পান না বলেলন। আপনাদের দুঃখ-কষ্ট আছে বুঝলাম কিন্তু আমাদের তো আইন অনুযায়ী বিচার করতে হবে। এমপিও নিয়ে এর আগেও আমাদের আদালতের দেয়া কয়েকটি সিদ্ধান্ত আছে, সেগুলোও দেখতে হবে। তাই কি আদেশ হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। কারণ, আইন মেনেই আমাদের আদেশ দিতে হবে। তবে আপনাদের মানবিক দিকটাও আমরা দেখবো।

সর্বোচ্চ আদালতে নিজেদের মামলা নিজেরাই লড়ার প্রেক্ষাপটে এদের পক্ষে আইনজীবী নিযুক্ত করার প্রসঙ্গ ওঠে। এসময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ আদালতকে বলেন, মাই লর্ড এদের পক্ষে একজন আইনজীবী থাকলে ভালো হতো।

এসময় ভার্চুয়াল আদালতে যুক্ত থাকা অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী আদালতকে বলেন, মাই লর্ড আমি এদের পক্ষে মামলাটি লড়তে রাজি আছি। তখন আদালত বিনা ফিতে এই মামলাটি করতে বলেন। তখন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী এই মামলার ওকালতনামাসহ আনুষঙ্গিক সব খরচ নিজেই করবেন বলে আদালতকে জানান। এরপর আদালত এবিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।


সর্বশেষ সংবাদ