করোনার মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষা না নেয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২০, ০৬:০৩ PM , আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২০, ০৭:২২ PM
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার না নেয়ার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এজন্য তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘করোনার মধ্যে এইচএসসি নয়’ নামে একটি গ্রুপ খুলেছে। সেখানে তারা পরীক্ষা না নেয়ার পক্ষে তাদের যুক্তি তুলে ধরে মতামত প্রকাশ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের প্রকোপ রয়ে গেছে। প্রতিদিন নতুন নতুন শনাক্ত হচ্ছে। প্রতিদিন ৩০-৪০ জনের মৃত্যু হচ্ছে।
এ পরীক্ষার্থীর মতে, এসময়ে এইচএসসি নেয়ার কথা শিক্ষা মন্ত্রণালয় কীভাবে ভাবছে সেটাইতো বুঝতে পারছি না। আন্দাজে কিছু না বলে প্রধানমন্ত্রীর মতো সোজা কথা বলে দিলেই তো হয়; করোনাভাইরাস চলে গেলে পরীক্ষা নেয়া হবে।
তাদের ফেসবুক গ্রুপের ডেসক্রিপশনে বলা হয়েছে, আমাদের এই আন্দোলন সফল করতে আপনাদের সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা দরকার। তাই এই আন্দোলনকে বেগবান করতে আপনাদের ফ্রেন্ডলিস্টের সকল বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে গ্রুপে এ্যাড করে নিবেন। যাতে করে শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং ঊর্ধ্বতনদের নিকট আমাদের আন্দোলন দৃষ্টিগোচর হয়।
পরীক্ষার্থীরা বলেন, করোনাভাইরাসের শুরুর দিকে লক্ষণ প্রকাশ পায় না। আবার অনেকে উপসর্গহীনভাবেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। তাহলে যদি কোনো পরীক্ষার্থী এমন অবস্থায় থাকে তবে তার জন্য অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারে। আবার কেউ যদি আক্রান্ত হয়ে থাকে তবুও তো সে পরীক্ষা দিতে যাবে। সেও তো চাইবে না তার একটি বছর নষ্ট হোক।
তারা বলেন, পরীক্ষার সময় করোনা ধরা পড়লে কি হবে? এতে যদি কেউ মারা যায় তবে যারা পরীক্ষা নেয়ার এতো প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা তো প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারবে না। আমরা বেঁচে গেলেও আমাদের থেকে যদি পরিবারের বয়স্করা করোনায় আক্রান্ত হয় তাহলে তো তাদের মৃত্যু ঝুকি আরো বেশি।
এদিকে, এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়ে আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, কোনো সিদ্ধান্ত হলে সবাইকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে কি না, তা জানানো হবে ২৫ অগাস্টের পর।