এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর রোডম্যাপ প্রস্তুত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২০, ০৩:৫৭ PM , আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২০, ০৪:০১ PM
দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অন্তত ১৫ দিন পর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে পারে। বর্তমানে পর্যায়ক্রমে দেশের সব খাত সচল হতে শুরু হওয়ায় সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে অথবা অক্টোবরের শুরুতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছর গত ১ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এই পরীক্ষাসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্থগিত পরীক্ষার পরবর্তী সময় ঘোষণা না করায় অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে প্রায় ১২ লাখ পরীক্ষার্থী।
আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড থেকে জানা গেছে, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থী কমিয়ে একটি বেঞ্চে একজন করে বসানো হবে। ক্লাসরুমে যতগুলো বেঞ্চ থাকবে ততজন পরীক্ষার্থীর সিট নির্ধারণ করা হবে। কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হলে পার্শ্ববর্তী ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর গেটের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হবে। পরিদর্শক ও পরীক্ষার্থীরা ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে ভেতরে প্রবেশ করবেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে সবকিছু সচল হয়ে যাচ্ছে। তাই আগামী সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে অথবা অক্টোবরের শুরুতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নতুনভাবে প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। এজন্য শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরে পার্শ্ববর্তী ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা চাওয়া হয়েছে। নতুনভাবে কেন্দ্র বৃদ্ধি করে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।’
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, পরীক্ষা আয়োজনে আমাদের সকল প্রস্তুতি অনেক আগেই শেষ হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দিলে পরীক্ষা শুরু করা হবে।
এর আগে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের আয়োজিত ‘ক্যাম্পাস টক’র ফেসবুক লাইভে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, করোনার কারণে স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষার নতুন তারিখ অন্ততপক্ষে পরীক্ষা শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে। হুট করে আজকে বলব না যে কালকে পরীক্ষা। যাতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রস্তুতিটুকু আরও ভালো করে নিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, যখন পরীক্ষা নেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। তখন অবশ্যই আমরা পরীক্ষা নেব। আর আমরা পরীক্ষা নেয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলাম। তারপরে কোভিডের কারণে এটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে। আমাদের প্রস্তুতি আছে। সুতরাং শিক্ষার্থীরাও তাদের প্রস্তুতি বজায় রাখবে।
এদিকে জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তাদের কাছে শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। চলতি বছর সারাদেশে কোথায় কোন কেন্দ্রে কতজন পরীক্ষার্থী রয়েছে সে তথ্য পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশের ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত কেন্দ্র হিসেবে পরীক্ষা নেয়া হবে।