ছাত্রদের দাবির মুখে সিটি কলেজের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কার

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন  © সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ঢাকা সিটি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করলেও এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে প্রকাশিত নোটিশে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজি নেয়ামুল হকের সই করা নোটিশে বলা হয়েছে, ঢাকা সিটি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সাতটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে —

১. ছাত্রদেরকে গালিগালাজ করার কারণে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

২. কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সুমনের বহিষ্কারের কারণ তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে অতি দ্রুত তাকে কর্মে যোগদান করানো হবে।

৩. ইতোপূর্বে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রিটেইক বাবদ যে সব ফি নেওয়া হয়েছে তা ফেরত দেওয়া হবে। বিশেষ ক্লাস বা কোচিংয়ের জন্য কোনো ফি নেওয়া হবে না।

৪. আন্দোলনকারী কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। পিকনিকের ব্যাপারে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

৫. কোন শিক্ষার্থীর অভিভাবককে হয়রানি বা অপমান করা হবে না।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন বন্ধ করে কলেজের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আবেগ এবং অনুভূতিকে সবসময়ই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সিটি কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মোহাম্মদ নিয়ামুল হক এবং উপাধ্যক্ষ মো. মোখলেছুর রহমানের পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। সেজন্য তিনদিনের জন্য কলেজের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। যেখানে কলেজের উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরে বিকেল ৩টার পর কলেজের মূল ফটক খুলে নিচতলায় কন্ট্রোল রুমে থাকা অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এরপর শিক্ষার্থীরা দোতলায় উঠতে চাইলে সেনাবাহিনী ভেতর থেকে গেট বন্ধ করে দেয়। 


সর্বশেষ সংবাদ