এইচএসসির ফল তৈরি নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল

শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস
শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস  © ফাইল ছবি

শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করেছে সরকার। বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর ফলাফল কীভাবে দেওয়া হবে সে সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ প্রস্তাব শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তরে রয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (১৮) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, এইচএসসি’র ফলাফল কবে প্রকাশ করা হবে সে সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব শিক্ষা বোর্ডগুলো এখনো পাঠায়নি। কীভাবে এইচএসসি’র ফল প্রকাশ করা হবে সে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

ওই সূত্র আরও জানায়, শিক্ষা বোর্ডের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি মাধ্যমিক শাখা থেকে অনুমোদন করে সচিবের দপ্তরে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে সচিবের দপ্তর থেকে এটি শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা অনুমোদন দিলে এটি চূড়ান্ত করা হবে। তবে অনুমোদন না পেলে নতুন করে প্রস্তাব পাঠাতে হবে বোর্ডগুলোকে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি মাধ্যমিক শাখার এক কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত প্রস্তাব অনুমোদনের। প্রস্তাব অনুমোদনের আগে কীভাবে ফল প্রকাশ করা হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না।’

জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সাব কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘কীভাবে ফল প্রকাশ করা হবে সে সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন হওয়ার পর কবে ফল প্রকাশ করা হবে তা নিয়ে আরেকটি প্রস্তাব পাঠানো হবে। ফলে কবে নাগাদ ফল প্রকাশ করা হবে সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার থেকে শুরু করে সরকার পতনের দাবিতে হওয়া লাগাতার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এবার পুরো এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হয়নি। ১৩টি বিষয়ের মধ্যে কেবল ৭টি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়। পরীক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল করে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল জুন মাসের ৩০ তারিখে। জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার।

সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ১১ আগস্ট। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন অংশগ্রহণ করেন।


সর্বশেষ সংবাদ