২০ আগস্ট ২০২৪, ২২:০৭

অনুষ্ঠিত হওয়া এইচএসসি ও আগের ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন দাবি

সচিবালয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের আন্দোলন  © টিডিসি ফটো

অনুষ্ঠিত হওয়া এইচএসসি ও আগের এসএসসি, জেএসসি ও পিইসিই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন দাবি করেছেন আন্দোলনকারী এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। এইচএসসির যে পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলোর নম্বর ও আর যে পরীক্ষাগুলো বাতিল হয়েছে সে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এসএসসি, জেএসসি ও পিইসিই পরীক্ষায় প্রাপ্তনম্বর সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন তারা। 

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ দাবি জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাগুলো বাতিল করেছে সরকার। এরপর থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কী উপায়ে হবে-তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

আরও পড়ুন :এইচএসসির স্থগিত সব পরীক্ষা বাতিল

শিক্ষার্থীরা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা অটোপাস চাই না। কয়েকটি গণমাধ্যম অটোপাসের দাবি করা হচ্ছে বলে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আমদের মধ্যেই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। তাই আমরা বিষয়টি পরিস্কার করতে চাই। 

তারা আরও বলেন, আমরা চাই যে পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলোর নম্বর আর যে পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়নি সেগুলোর ক্ষেত্রে এসএসসি, জেএসসি, পিইসিইর নম্বর বিবেচনা করে সাবজেক্ট ম্যাপিং বা কোন বিকল্প পদ্ধতিতে আমাদের মূল্যায়ন করা হোক। 

আরও পড়ুন : অর্ধেক প্রশ্নোত্তরেও ‘না’, ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’য়ের মতো বিকল্প দাবি পরীক্ষার্থীদের

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা অটোপাস চাচ্ছি না। অটোপাস বলতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন আমরা যে পরীক্ষাগুলো দিয়েছি সে পরীক্ষাগুলোও বাতিল চাচ্ছি, কিন্তু আমরা তা চাচ্ছি না। আমরা যে পরীক্ষাগুলো দিয়েছি, সে পরীক্ষাগুলোর নম্বর চাই আর যে পরীক্ষাগুলো দেইনি সে পরীক্ষাগুলোতে সাবজেক্ট ম্যাপিং বা অন্য কোন বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে এইচএসসির চূড়ান্ত ফল চাই। 

আরও পড়ুন : এইচএসসির বাকি পরীক্ষাগুলো অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে, পরীক্ষা পেছাবে

এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকালে  আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়েছে। ফল কি উপায়ে হবে সে বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। 

এর আগে এদিন সকালে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে এক জরুরি সভায় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা আরও দুই সপ্তাহ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এছাড়া, ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থেকে ৫০ নম্বরের উত্তর দেয়ার মাধ্যমে অর্থাৎ অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে পরীক্ষার্থীরা সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। 

পরীক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এ সময় সচিবের কক্ষের বাইরে পরীক্ষা না দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনরত অনেক পরীক্ষার্থী। এমন পরিস্থিতিতে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন কর্মকর্তারা।