কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতারণা, একাদশে ভর্তি অনিশ্চিত ১০৪ শিক্ষার্থীর

ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিটিশন অ্যান্ড কলেজ
ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিটিশন অ্যান্ড কলেজ  © সংগৃহীত

কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতারণার কারণে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারেনি শরীয়তপুরের ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজের ১০৪ শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজের ১০৪ শিক্ষার্থী। এসএসসিতে উত্তীর্ণ এই শিক্ষার্থীদের একাদশে ভর্তির জন্য ৮ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে বলে শিক্ষা বোর্ড।

কিন্তু আবেদনের প্রথম দিন এই ১০৪ শিক্ষার্থীকে কোনো কিছু না জানিয়ে তাদের নামে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করে ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। কজেল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আবেদনে তাদের কলেজকে পছন্দক্রমের প্রথমে রাখে।

পরবর্তীতে এই শিক্ষার্থীরা পছন্দের কলেজে ভর্তির আবেদন করতে গিয়ে জানতে পারে তাদের নামে আগেই আবেদন করা হয়েছে।  তাদের আবেদনে ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিটিশন অ্যান্ড কলেজকে পছন্দক্রমের প্রথমে রাখা হয়েছে। এছাড়া, পছন্দক্রমে অন্য যেসব কলেজের নাম আসে সেগুলোর কোনো অস্তিত্ব আছে কিনা তা নিয়েও সন্দিহান শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন : শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে সড়ক ছাড়লেন নিবন্ধনধারীরা

অভিভাবকরা জানান, ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিটিশন অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের  অনুমতি ছাড়াই নিজ প্রতিষ্ঠানকে প্রথম পছন্দে রেখে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করে রাখে। অথচ এই প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখায় কোনো শিক্ষক নেই।  তাছাড়া তাদের সন্তানরা এই কলেজে ভর্তি হতেও চায় না। কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতারণার কারণে সন্তানদের পড়ালেখা মনে হয় বন্ধ হয়ে যাবে।

তারা বলেন, শিক্ষা বোর্ড দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে আবেদনের সুযোগ করে দিলে এই শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। নয়তো এই পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিটিশন অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কবিরাজ আব্দুল খালেক বলেন, শিক্ষার্থীরা এই কলেজে ভর্তি হতে না চাইলে কিছুই করার নাই। পরবর্তীতে ভর্তির সুযোগ দিলে তখন অন্য কলেজে ভর্তি হতে পারবে। ভর্তির জন্য আমরা কাউকে আর জোর করব না।

শরীয়তপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদ হোসেন বলেন, এই বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আমার কাছে ফোনে অভিযোগ করেছে। তাদের লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। কলেজের অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে আলাপ হয়েছে। তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কেউ লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ