৯৯৯-এ ফোন, মা-ভাইকে উদ্ধার করল কলেজছাত্র
ঝালকাঠিতে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে মা ও ছোট ভাইকে উদ্ধার করেছে কলেজছাত্র মাহামুদুল হাসান মুন্না। বাজারের দোকানিদের কাছ থেকে মা ও ছোট ভাইয়ের অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চায়।
খবর পেয়ে পুলিশ আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তার মা রোজিনা বেগমকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। একইসঙ্গে আবু ফয়সাল মুবিনকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউপির মুরাসাতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের ছাত্র মাহামুদুল হাসান মুন্না জানান, তার বাবা প্রবাসী মো. ফারুক হোসেনের নিজস্ব বিল্ডিং-এ প্রায় দেড় বছর ধরে চাচাদের নিয়ে একসাথে বসবাস করছেন। এতদিন পর হঠাৎ করে তার বাবার চাচাতো ভাই সোবাহান হাওলাদার গংরা দাবি করে ওই বিল্ডিংয়ের মধ্যে তাদের জমি রয়েছে।
আরও পড়ুন:ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকা ‘ছাত্রদল নেতাকে’ বহিষ্কার
এমন দাবি তুলে অতর্কিতভাবে সোবাহান হাওলাদার, আমির হোসেন হাওলাদার, রহিম হোসেন, সোহেল হাওলাদার, সাদ্দাম হাওলাদার, শাহজাহান হাওলাদার, সোহান হাওলাদার, মিম আক্তার, রিনা বেগম, আমেনা বেগম, মাহামুদা বেগমসহ আরও ২৫-৩০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি মিলে বিল্ডিংয়ের ছাদ ও দেওয়াল ভেঙে ফেলে। এ সময় দুই লাখ ১০ হাজার টাকা ও এক ভরি ওজনের স্বর্ণ নিয়ে যান তারা। বিল্ডিং ভাঙচুর, টাকা ও স্বর্ণ নেয়ায় সব মিলিয়ে প্রায় ১৩ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদার বলেন, আমাদের জায়গায় জোর করে বিল্ডিং করেছে, তাই আমরা ভেঙে ফেলেছি। তবে আমরা কাউকে অবরুদ্ধ করে মারধর করিনি।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।