পাঁচ কলেজশিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পাঁচ কলেজশিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার গতকাল রোববার এ আদেশ দেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী আল মামুন রাসেল বলেন, মামলা নেয়ার আবেদন খারিজ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে। শিমু আহমেদ নামে একজন শিক্ষার্থী আদালতে নালিশি মামলা নেয়ার এ আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে এক ঢাবিতেই অধ্যাপক বেশি
মামলায় যে পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা হলেন ঝিনাইদহের ডা: সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পাল, নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো: শফিকুর রহমান, নড়াইল মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো: রেজাউল করিম।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নটি সংযোজন করে বলা হয়, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ-বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আবদুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আবদুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’
আসামিরা এ ধরনের প্রশ্ন করার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম ও মুসলিমদের সরাসরি হেয়প্রতিপন্ন করা হয়। এমন প্রশ্নের মাধ্যমে প্রশ্নকারী ও প্রশ্ন পরিশোধকরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ও সমাজে মুসলিমদের সম্মানহানি করেন। এসব তথ্য সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।