বরিশালে এইচএসসি দিচ্ছেন ৬২ হাজার ৯৬৪ পরীক্ষার্থী
আজ সকাল ১১ টায় একযোগে সারাদেশে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বরিশালেও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীন বিভাগের ৬ জেলায় ১শ’ ২৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৬২ হাজার ৯শ’ ৬৪ জন পরীক্ষার্থী।
শনিবার (৫ নভেম্বর) এ তথ্য জানান বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন।
তিনি জানান, এবার বিভাগের ৬ জেলা ও মহানগরীর ১২৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৬২ হাজার ৯শ’ ৬৪ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্রী ৩২ হাজার ১শ’ ৭৭ জন এবং ৩০ হাজার ৭শ’ ৮৭ জন ছাত্র। এবারের এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২ ঘন্টা এবং সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে।
তিনি আরও জানান, বিকেলের পরীক্ষা দুপুর ২টায় শুরু হয়ে শেষ হবে বিকেল ৪টায়। প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: বয়সসীমা নিয়ে দ্বিধায় ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা।
এর আগে গত বছর বরিশাল বোর্ডে ১২১টি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এবছর নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহনের জন্য শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা।
প্রফেসর অরুন কুমার গাইন জানান, পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে ১১ টি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বি এম কলেজের শিক্ষকদের নিয়ে ৬ টি, প্রতিটি জেলায় ৫ টি এবং জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে একাধিক টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিম পরীক্ষা কেন্দ্র গুলো পরির্দশন করবে।
তিনি বলেন, এবার জেলা পর্যায়ে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও প্রশ্নপত্র খোলার বিয়টি স্বশরীরে থেকে তদারকি করবেন।
প্রসঙ্গত, পরীক্ষার নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
এছাড়া প্রশ্নপত্র বিতরণের পূর্বে সময় সূচি অনুযায়ী বিষয়, বিষয় কোড, পত্র ও সেট কোড নিশ্চিত হয়ে কক্ষ পর্যবেক্ষকরা বিতরণ করা হবে। এর আগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবমুক্ত, নকলমুক্ত, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়।