ব্যানারে বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন এমপির

এইচএসসি-২০২২ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের ব্যানার
এইচএসসি-২০২২ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের ব্যানার  © সংগৃহীত

নাটোরের গুরুদাসপুরের বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজে এইচএসসি-২০২২ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের ব্যানারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল কুদ্দুস অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকায় সংসদ সদস্য চলে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর ছবি না থাকার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা।

জনা যায়, অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. একরামুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের।

আরও পড়ুন: এইচএসসির সার্টিফিকেটে বানান ভুল, শিক্ষা বোর্ডের কোটি টাকা গচ্চা

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শামীম আহমেদ ও নাটোর জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমানের নামও ছিল ব্যানারে। তবে অনুষ্ঠানের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিল না।

কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সজীব জানান, অনুষ্ঠান শুরুর আগে বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে বারবার বললেও তারা গুরুত্ব দেন নি। পরে আনুমানিক সকাল সাড়ে ৯টায় কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানে এসে সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস গাড়ি থেকে নামার পর মঞ্চের ব্যানারে তাকিয়ে দেখেন ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। সেই মুহূর্তেই এমপি কলেজ ত্যাগ করে ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যান।

কলেজ অধ্যক্ষ ড. মো. একরামুল হক বলেন, বিদায় অনুষ্ঠানের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়ার কোনো নির্দেশনা নেই। কলেজের ছাত্রলীগের মধ্যে গ্রুপিংয়ের কারণে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়। আমি একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমার ২৬ বছর কর্মজীবনে কোনোদিন এমন নজির দেখিনি যে কলেজের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে জাতীর পিতার বা প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে ব্যানার করেছে।

এসব বিষয়ে সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকলে আমরা কোনো অনুষ্ঠানে যাই না। কলেজে শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের ব্যানারে ছবি না থাকায় ওই অনুষ্ঠান বর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধু এই দেশ বানিয়েছেন তার ছবি থাকবে না তো কার ছবি থাকবে? যদি কোনো শিক্ষক বলে থাকেন এরকম নজির নেই তারা জামায়াত-বিএনপির শিক্ষক।


সর্বশেষ সংবাদ