ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

নিয়োগ বোর্ডের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রীট, উপাচার্যকে উকিল নোটিশ

  © ফাইল ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) গনিত বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রীট করেছেন এক প্রার্থী। রোকনুজ্জামান নামের ওই প্রার্থীর পক্ষে গত ৪ ডিসেম্বর রীট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট মো: ইসমাইল হোসাইন।

দায়ের করা রীট নং ১৫১৮৭। রীটের প্রেক্ষিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীকে উকিল নোটিশ পাটানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমারা একটি উকিল নোটিশ পেয়েছি। হাইকোর্ট থেকে কোন নির্দেশনা এখনো দেওয়া হয়নি সুতরাং আগামীকালের (শুক্রবার) সিন্ডিকেটে বোর্ডের সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হবে।’

রীট সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর দুই জন (একজন প্রভাষক এবং সহযোগী অধ্যাপক) শিক্ষক চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ। গত ৩০ নভেম্বর শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রার্থীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টে রীট করা হয়েছে।

জানা যায়, চলতি বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪টি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। এসব বোর্ড লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হত শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে।

সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে শিক্ষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার নিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী গত ৩০ নভেম্বর গণিত বিভাগের নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়।

কিন্তু ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর গণিত বিভাগের যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় সেখানে নিয়োগ বোর্ড প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র মৌখিক সাক্ষাৎকার বা পরীক্ষার কথা উল্লেখ ছিল। মৌখিক সাক্ষাৎকারের পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষার কথা উল্লেখ ছিল না। তাই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এর মাধ্যমে প্রার্থীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে দাবি রীটকারী প্রার্থী রোকনুজ্জামানের।

এ বিষয়ে প্রার্থী রোকনুজ্জামান বলেন, ‘২০১৫ সালের ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যে প্রক্রিয়ায় নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হাওয়ার কথা ছিল সেই প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, বিজ্ঞাপিত ওই দুটি পদের বিপরীতে প্রায় ৮৬ জন প্রার্থী আবেদন করেন। বোর্ডে ২৪ জন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় মাত্র ৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ওই ৯ জনের মৌখিক সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

এদিকে গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিজানুর রহমানের দায়ের করা মামলার কারণে এতদিনে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করতে পারেনি বলে জানা গেছে। ওবে কিছুদিন আগে তিনি মামলাটি উঠিয়ে নেওয়ায় নিয়োগ বোর্ডের তারিখ নির্ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


সর্বশেষ সংবাদ